আমাদের ভারত, ১৮ মার্চ: গত বছর দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশে একাধিক জেলা জুড়ে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছিল তার স্মৃতি এখনো মলিন হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল পুজোমণ্ডপ ও মন্দির ভাঙ্গার একাধিক ভিডিও ছবি। এমনকি রাস্তায় ফেলে মানুষকে বেধড়ক মারের ছবি উঠে এসেছিল। আবারও সেই একই ঘটনা ঘটলো সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের সাথে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ওয়ারীতে ২২২ লালমোহন সাহা স্ট্রিটে অবস্থিত ইসকন রাধাকান্ত মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরে ব্যপক ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। ঘটনায় কমপক্ষে তিন জন আহত হয়েছেন বলে খবর।
ইসকনের এই মন্দিরে গুরুপূর্ণিমা উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছিল। সেই সময় আচমকায় হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। প্রায় ২০০ জন মিলে এই হামলা চালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন হাজী শফি উল্লাহ নামে স্থানীয় এক দুষ্কৃতী। এর আগেও মন্দিরের জায়গা দখল করার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় হামলাকারীরা ওই মন্দিরে একটি প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই নাকি মন্দিরের কিছু অংশ নিয়ে বিরোধ চলছে। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে দাবি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। হামলায় আহত হয়েছেন মন্দিরের কয়েকজন ভক্ত। ইতিমধ্যে ওয়ারী থানার পক্ষ থেকে মন্দির এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। পুলিশের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। গতবারের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মনে রেখে ইসকন মন্দির কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
গতবছর বাংলাদেশের কুমিল্লায় নানুয়া দীঘির কাছে একটি দূর্গা পুজোর প্যান্ডেলে কোরান অবমাননার অজুহাতে সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলা হয়। বহু মানুষের বাড়ি ঘরদোর ভেঙে ফেলা হয়। বেশকিছু দিন ধরে ঘটনার রেশ চলে। সম্পূর্ণ ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলেও জানা গেছে। প্রাণ বাঁচাতে অনেক হিন্দুকে তাদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। এর আগে ঢাকার টিপু সুলতান রোড ও চট্টগ্রামের কোতোয়ালিতেও এই ধরণের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।