আমাদের ভারত, ১০ জানুয়ারি: ইডি আধিকারিক ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ওপর সন্দেশখালিতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আবারও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বুধবার গঙ্গাসাগর মেলায় গিয়ে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতের সংবিধানের উপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের কোনো ভুয়ো সংস্থা নয়।
বুধবার সুকান্ত মজুমদার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই রাজ্যের শাসক দলের উদ্দেশ্যে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভা ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে এদের। ফলে এই হামলা ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা।
বুধবার গঙ্গাসাগরে স্নান করেন সুকান্ত মজুমদার। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেন। পরে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, এই ধরনের মানসিকতা পশ্চিমবঙ্গকে ভারত থেকে আলাদা করতে চায়। বিজেপি এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। সুকান্ত মজুমদারের আরো অভিযোগ,হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের বদলে বঙ্গরত্ন দেবে এই রাজ্য সরকার, কারণ এরাই ভোটে জেতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর দাবি, মানুষ এখন আর তৃণমূলকে ভোট দেয় না। এরপরেই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সময় আসছে, বিজেপির সরকার তৈরি হবে। এখন যে বাড়ির তালা ভাঙ্গা যায়নি, তখন সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।
অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের জবাবও দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার। সোমবার গঙ্গাসাগর থেকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন কুম্ভ মেলার থেকেও বড় মেলা গঙ্গাসাগর। কিন্তু কেন্দ্র এক পয়সাও সাহায্য করে না। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সাহায্য পেতে গেলে তো প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে। তাঁকে উদ্বোধনে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দু’চারটে ছবিও পেতে হবে। পুরো মেলা প্রাঙ্গণ দেখে মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই।
অভিযোগের সুরে তিনি বলেন, পুলিশ মাইকিং করছে যে, সরকার নির্ধারিত ভাড়া দিয়ে আসবেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত ভাড়া কী? রেট চাট কত? তা কেউ জানেন না। পুণ্যার্থীদের কাছ থেকে যে যেরকম পাচ্ছেন লুটে নিচ্ছেন।
সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তুলেছেন, গঙ্গাসাগরের মেলার আয়োজনে ২০০ কোটি টাকা খরচের হিসেব দেখানো হয়, সেটা কোথায় যায়? তাঁর আরও প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতেই কি চলে যায় বেশিরভাগ টাকা?