আমাদের ভারত, ১৯ জুন: ইরান- ইসরায়েল যুদ্ধ ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। দু’ পক্ষই লাগাম ছাড়া আক্রমণ চালাচ্ছে একে অপরের উপর। ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ইসরায়েলের দক্ষিণ প্রান্তে বেরসেভা শহরে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে আবার ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানোর অভিযোগ ইজরায়েলের বিরুদ্ধে।
আবার ইরান- ইজরাইলের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আমেরিকাও। গতকাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে ইসরায়েল- ইরান সংঘাতের এসপার ওসপার হয়ে যাবে। যুদ্ধের ডেড লাইন দিয়ে দিয়েছেন তিনি। কটাক্ষের সুরে ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়তল্লা আলি খামেনেইকে ট্রাম্প গুড লাক বার্তা পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার যুদ্ধের তীব্রতা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে ইরান বাহিনী। জেনেভা কনভেনশনের পরোয়া না করে ইহুদী দেশের দক্ষিণ প্রান্তে বেরশেভা শহরে একটি হাসপাতালে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইরানের বিরুদ্ধে। যদিও এখনো হাসপাতালে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তবে রোগীদের ওই হাসপাতালে না আসার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের পাশেই রয়েছে একটি সামরিক গোয়েন্দা দপ্তর সেটাকেই নিশানা করেছিল তেহেরান বলে মনে করা হচ্ছে। হাসপাতালে সামান্যই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান। এই এলাকায় হামলা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকেই হাসপাতালটি আগেই ফাঁকা করে দেওয়া হয়। তাতেই ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে বলে অনুমান।
ইরানের পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে ফের হামলা জানানোর অভিযোগ উঠেছে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে। ইরানের সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, খোনদাব শহরে ভারী জলের গবেষণা কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলের সেনা। বস্তুত ভারী জল পরমাণু রিয়াক্টারকে শীতল রাখতে ব্যবহার করা হয়। যদিও ইরানের দাবি, হামলার আগেই ওই কেন্দ্রটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ছড়ানোর আশঙ্কা নেই।
শুক্রবার ইরানে সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশ পথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে ইরান সেনা চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘিরি সহ একাধিক শীর্ষ অধিকারিকের। পাশাপাশি ৯ জুন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনা করেই হত্যা করে ইজরায়েল।এই ঘটনার পরে আবার মধ্যেপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। ইজরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু বোমার খুব কাছে ছিল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে হামলা চালানো হয়েছে। বুধবারের তথ্য অনুযায়ী ইরান- ইসরায়েল যুদ্ধে মৃত ৬০০- রও বেশি। এর মধ্যে ইরানে মৃত্যু হয়েছে ৫৮৫ জনের।