আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৯ আগস্ট: ভর্তি হলেই সঙ্গে রাখতে হচ্ছে টর্চ লাইট। কারণ বিকল জেনারেটর। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অন্ধকারে সাপের কামড় থাকে বাঁচতে টর্চ লাইটকেই সম্বল করতে হচ্ছে বীরভূমের মল্লারপুর ব্লক হাসপাতালের রোগীদের। আর মোবাইলের আলো জ্বেলে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হচ্ছে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
বীরভূমের মল্লারপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ফলে কোনও পথ দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভরসা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিষেবার কারণে সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসক থেকে রোগীদের। একটি জেনারেটর থাকলে অধিকাংশ সময়েই বিকল থাকে।
বিএমওএইচ শিবায়ন রায় বলেন, “জেনারেটর ঘর না থাকার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে পড়ে পড়ে জেনারেটর নষ্ট হচ্ছে। মিস্ত্রি এসে ঠিক করার পরেই ফের বিকল হয়ে পড়ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাইনি। ফলে মাঝে মধ্যেই লোডশেডিংয়ের ফলে চরম অসুবিধা হচ্ছে।” হাসপাতালের চিকিৎসক মিজান সরকার বলেন, “নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে সমস্যায় পড়ছেন রোগী থেকে তাদের আত্মীয়রা। চিকিৎসা করতে হচ্ছে টর্চ কিংবা মোবাইলের আলো জ্বেলে। আশেপাশে জঙ্গল থাকায় মাঝে মধ্যে সাপের উপদ্রব চোখে পড়ে”।
রোগী বিবেকানন্দ লেট বলেন, “লোডশেডিং হলেই একঘণ্টা ধরে থাকছে। সমস্ত অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। বাথরুম যাওয়া যাচ্ছে না। তাই লোডশেডিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি থেকে টর্চ লাইট আনতে হচ্ছে”।
একই বক্তব্য রোগীর আত্মীয় জ্যাৎস্না বাদ্যকরের। তিনি বলেন, “ভর্তি হওয়ার সময়েই চিকিৎসরা বলে দিচ্ছেন সঙ্গে টর্চ লাইট রাখবেন। তাই বাড়ি থেকে টর্চ লাইট এনেছি। দুদিন ধরে হাসপাতালে থেকে দেখলাম টর্চ লাইট না থাকলে কি দুর্দশা হত”।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালের ডেপুটি সিএমওএইচ স্বপন ওঝা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক বদলি হয়ে গিয়েছেন। নতুন যিনি আসবেন তিনি এখনও দায়িত্ব বুঝে নেননি। সপ্তাহখানেক পর এনিয়ে খোঁজখবর নেবেন”।

