আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১ জানুয়ারি: জেলা পরিষদের তলবি সভা ডাকা নিয়ে বছরের শুরুতেই ধাক্কা খেল তৃণমূল। হাই কোর্টের রায়ে বাতিল হল অনাস্থা প্রক্রিয়া। পাল্টা আদালতে যাচ্ছে তৃণমূলও। পঞ্চায়েত আইন অমান্যের অভিযোগ বিজেপির।
আইন অমান্য করে সভা ডাকায় এমন নির্দেশ, জানালো আদালতও। মিথ্যে কথা বলা হয়েছে আদালতকে, দাবি জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষের।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জানিয়েছেন, নিয়ম মেনেই তলবি সভা ডাকা হয়েছে। কিন্তু আদালতে মিথ্যে কথা বলে ভুল প্রমানের চেষ্টা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে পাল্টা আদালতে যাচ্ছেন তারাও।
দক্ষিন দিনাজপুরে প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা রায়কে দলে ফিরে পেতেই একক ভাবে ক্ষমতা দখলের ছক কষে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্থায়ী সমিতিগুলির দখল নিতে বিজেপি সদস্যদের পদ খারিজের জন্য তলবি সভার ডাক দেওয়া হয় জেলা পরিষদে। ৩০ ডিসেম্বর জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত ওই সভায় পূর্ত, কৃষি, মৎস্য, ভূমি, বন, বিদ্যুৎ এবং শিক্ষা স্থায়ী সমিতি থেকে তৃণমূল বিরুদ্ধ ৯ সদস্যকে ঝেড়ে ফেলতে ২৩ জনের সমর্থন সামনে আনে শাসকদল। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অনাস্থা এনে ওই সদস্যদের তাঁদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। যদিও ওইদিন বিজেপির কোনও সদস্যই ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না। যেখানে মেন্টরের উপস্থিতি ঘিরেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।
পঞ্চায়েত আইন অমান্য করে তলবি সভা ডাকা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন বিজেপির জেলা পরিষদের বন ও ভূমি এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ চিন্তামনি বিহা। রাজ্যের বিরুদ্ধে করা ওই মামলায় তলবি সভাকে বাতিল করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর। সভার ৭ দিন আগে চিঠি দিয়ে সদস্যদের জানানোর নিয়ম থাকলেও এক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের সেই নিয়ম লঙ্ঘন করে তলবি সভা ডাকা হয়েছে বলেও জানিয়েছে।
জেলা পরিষদের বিজেপি সদস্য তথা কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ শঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে তলবি সভা ডাকা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সুবিচার পেয়েছেন।