কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৬ মে:
বর্তমানে সব থেকে বড় ইস্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো। সরকার সবরকম ভাবে তার জন্য চেষ্টা করছে। আজ মেদিনীপুরে এসে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব)।
তিনি বলেন, এই করোনা ভাইরাস এখনই যাচ্ছে না। ফলে লকডাউনও এখনই উঠে যাবে না। এখনও সময় আছে, আমাদের স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোকে ঠিক করার। হাসপাতালগুলিতে যেন পর্যাপ্ত আইসিইউ বেড থাকে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হয়, করোনা কিট যেন পর্যাপ্ত থাকে এগুলো আমাদের দেখতে হবে, কারণ আমাদের করোনাকে নিয়েই বাঁচতে হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনতে হবে, কিন্তু তাদের শুধু আনলেই হবে না, তাদের এনে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে, অনেক শ্রমিক আছে, যাদের একটা ঘরেই পরিবারকে নিয়ে থাকতে হয়। তাদের ক্ষেত্রে পরিবারকে আলাদা রাখতে হবে, এই বিষয়গুলো আগে দেখতে হবে। তবে এখন রাজনীতি করার সময় নয়, ২০২১ এর নির্বাচন আসছে, সেজন্য সরকারের বিরোধিতা করতে হবে, সরকার সাহায্য করছে না, আমি সাহায্য করছি, তাই আমাকে ভোট দেবেন এই মানসিকতা বদলাতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সমস্ত দলকে এক হয়ে করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। এই সময়টা হচ্ছে মানুষকে ভালো রাখার সময়।
তবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার জন্য তিনি পরোক্ষ ভাবে কেন্দ্রীর সরকারের সিদ্ধান্তকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, চার ঘন্টার নোটিশে ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরতে পারবে না, এটা বোঝা উচিৎ ছিল। কোনো সরকারের কাছে এই তথ্য ছিল না যে তার রাজ্যের কত শ্রমিক ভিন রাজ্যে কাজ করে। সময়ের সাথে সাথে তা রাজ্য সরকারগুলির কাছে স্পষ্ট হয়েছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা যদি কেন্দ্রীয় সরকার বা যারা রাজ্যে আটকে আছে, সেই রাজ্যের সরকার করত, তাহলে এই রকম ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আমারও কষ্ট হয় এটা ভেবে যে, যারা আমাদের দেশের ভোটার নয়, বিদেশে থাকে, তাদের জন্য ফ্লাইটের পর ফ্লাইট পাঠাতে পারি, কিন্তু যে আমাদের দেশের মানুষ, উন্নয়নে যে মানুষ সাহায্য করে, আমাদের দেশের ভোটার, তাদের আমরা আনতে পারছি না।
এদিনের বৈঠকে দেব ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভার সাংসদ মানস ভুঁইঞা, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।