পিন্টু কুন্ডু
বালুরঘাট, ৩১ জুলাই: পার্থ- অর্পিতা কাণ্ডের জোর সরগরমের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল শিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিকের ভিডিও। রাতের অন্ধকারে শিক্ষিকা বান্ধবীর বাড়ি থেকে পাঁচিল টপকে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েন ওই সরকারী আধিকারিক। চলে ধাক্কাধাক্কি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা দক্ষিন দিনাজপুরে।
জানা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল হওয়া শিক্ষা দপ্তরের ওই আধিকারিকের নাম গৌতম হালদার। বাড়ি মুর্শিদাবাদে হলেও কর্মসুত্রে বেশকিছুদিন ধরে দক্ষিণ দিনাজপুরেই রয়েছেন তিনি। বর্তমানে জেলা শিক্ষা দপ্তরের সহকারী পরিদর্শক হিসাবে কাজ করছেন তিনি। তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানেই দেখা গেছে ওই সরকারী আধিকারিক তার এক শিক্ষিকা বান্ধবীর বাড়িতে রোজ রাতের অন্ধকারে যাওয়া আসা করতেন। ত্রিমোহিনী হাইস্কুলের শিক্ষিকা তথা কোচবিহারের বাসিন্দা ওই স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতেই রোজ যাওয়া-আসা ছিল গৌতম হালদার নামে শিক্ষা দপ্তরের ওই আধিকারিকের।
বিষয়টি উপলব্ধি করে বেশকিছুদিন ধরে গোপনে নজরদারি রাখছিলেন স্থানীয়রা। মধ্যরাতে শিক্ষা দপ্তরের ওই আধিকারিক ত শিক্ষিকা বান্ধবীর ঘরে ঢুকতেই একত্রিত বাসিন্দারা হাতেনাতে ধরে ফেলে তাদের। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পাঁচিল টপকে পালাবার চেষ্টা করলেও রক্ষে পাননি ওই সরকারী আধিকারিক। ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয়দের প্রশ্নবানে পড়ে নিজেকে সরকারি আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেন গৌতম হালদার নামে ওই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, ভিডিওতে ওই অফিসার কখনো নিজেকে বিবাহিত আবার কখনো অবিবাহিত বলতে থাকেন। যা নিয়ে কিছুটা খিল্লিও উড়িয়েছেন স্থানীয় মহিলারা।
রাতের অন্ধকারে ওই শিক্ষিকার বাড়িতে তার আসা- যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের বিয়ে দিতে উদ্যত হতেও শোনা গেছে স্থানীয়দের। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় বালুরঘাট থানার পুলিশ পৌছালেও কোনও এক অজ্ঞাত কারনে তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি। যদিও ভিডিওতে পুলিশের উপস্থিতি স্পষ্ট রয়েছে। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সামনে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শিক্ষা দপ্তরের ওই আধিকারিক। অনেকে বলছেন, ওই শিক্ষিকাকে বদলি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই এসব করছেন তিনি।
বিষয়টি জানবার জন্য সহকারী পরিদর্শক গৌতম হালদারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, তাকে ফাঁসাবার চক্রান্ত করা হয়েছে। বাকি কথা টেলিফোনে বলতে পারবেন না তিনি।
শিক্ষক নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, সহকারী পরিদর্শকের ওই ভিডিওটি দেখেছেন তিনি। অতরাতে দিদিমণির বাড়িতে কি করছিলেন তিনি। যদি তার খারাপ অভিসন্ধি থাকে তবে সেটা ঠিক না। এধরণের বিষয় শিক্ষক সমাজের মধ্যে খারাপ প্রভাব ফেলবে।