আমাদের ভারত, ২৯ মার্চ: ৫০ বছরের পুরোনো সীমান্ত বিবাদ মিটলো আজ। নয়া দিল্লিতে এক তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ করল অসম ও মেঘালয় মুখ্যমন্ত্রীরা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কানরাডো সাংমা চুক্তি স্বাক্ষর করলেন। আশা করা হচ্ছে, এই বড় পদক্ষেপের ফলে উত্তর-পূর্বের দুই রাজ্যের মধ্যে বিবাদ মিটবে। এই চুক্তি স্বাক্ষরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংমা বলেছেন, “সীমান্ত বিবাদ সমাধানে নির্দেশনার জন্য আমি অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। আজ সমাধানের প্রথম ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এটি শুধুমাত্র হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কারণেই সম্ভব হয়েছে।” এর আগে তিনি জানিয়েছেন যে এই দুই রাজ্যের মধ্যে পার্থক্য মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের কাছ থেকে অনেকবার চাপ এসেছিল। সাংমা আরও জানান, যদি ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে ২ রাজ্য কেন পারবে না? এক্ষেত্রে কেন্দ্রের এটাই অবস্থান ছিল।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই দুই রাজ্যের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ মেটানোর দিনকে উত্তর-পূর্বের জন্য ঐতিহাসিক দিন বলে উল্লেখ করেছেন। টুইট করে অমিত শাহ জানিয়েছেন, অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে একটি ৫০ বছরের অমীমাংসিত সীমান্ত বিবাদের সমাধান করা হয়েছে। বিরোধের ১২টির মধ্যে ৬টি সমাধান করা হয়েছে যা সীমানার প্রায় ৭০% নিয়ে গঠিত। বাকি ৬টিও দ্রুত সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য অসম এবং মেঘালয়ের মধ্যে সীমান্ত বিবাদের সূত্রপাত ১৯৭২ সালে। সেই বছরই অসমের থেকে বেরিয়ে মেঘালয় অন্য রাজ্যে হয়। নতুন রাজ্য গঠনের প্রাথমিক চুক্তিতে সীমানা নির্ধারণের বিভিন্ন পার্ট নিয়ে সীমান্ত বিবাদের সূত্রপাত। এই ৫০ বছর ধরে চলতে থাকা বিবাদে ইতি টানা হলো আজ। চুক্তি স্বাক্ষরের আগে দুই মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনা করেছেন।
এর আগে অসম ও মেঘালয় মুখ্যমন্ত্রীরা একটা খসড়া রেসোলিউশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দ্বারা পরীক্ষা এবং বিবেচনার জন্য ৩১ জানুয়ারি শাহের কাছে জমা দিয়েছিলেন। তার মধ্যে সরকার ৮৮৪ কিলোমিটার সীমানা বরাবর ১২টি পার্থক্যের ক্ষেত্রে ছয়টিতে তাদের সীমান্ত বিবাদ মেটানোর জন্য একটি খসড়া বেরিয়ে এসেছিল।