আমাদের ভারত, ১৬ মার্চ: এই মুহূর্তে দেশজুড়ে ঝড় তুলেছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস। সেই ছবি দেখার জন্য সরকারি কর্মচারীদের অর্ধদিবস সবেতন ছুটি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। নিজেও মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সিনেমাটি দেখে এসেছেন। এরপর আবারও বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বিশ্বশর্মা বলেছেন, মুসলিমরা অসমের মোট জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশ এবং উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে তাদের আর সংখ্যালঘু হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। একইসঙ্গে ১৯৯০ সালের কাশ্মীরি হিন্দুদের পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেছেন, কাশ্মীর ফাইল সিনেমায় যা দেখানো হয়েছে এমন ঘটনা অসমেও হতে পারে। এই ভয় অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের মন থেকে দূর করা এরাজ্যের মুসলিমদের কর্তব্য।
অসম বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের রাজ্যপালের ভাষণ নিয়ে বিতর্কের সময় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, “আজ মুসলিম সম্প্রদায়ের থেকে বিরোধী দলের নেতা ও বিধায়করা রয়েছেন।তাদেরও সমান সুযোগ এবং ক্ষমতা রয়েছে। তাই তাদের নিশ্চিত করা কর্তব্য যে আদিবাসীদের অধিকার যাতে সুরক্ষিত থাকে এবং তাদের জমি জবরদখল করা না হয়। ষষ্ঠ তপশিলি এলাকায় বসবাসকারী আদীবাসীদের জমি দখল করার প্রয়োজন নেই। যদি বোরো এবং কলিতা সেই জমিতে বসতি স্থাপন না করে তাহলে ইসলাম এবং রহমানকেও সেই জমিতে বসতি স্থাপন থেকে বিরত থাকতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “ক্ষমতার সঙ্গে আসে দায়িত্ব। যেহেতু মুসলিমরা অসমের জনসংখ্যার ৩৫%, তাই এখন সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা তাদের কর্তব্য। তাঁর কথায় অসমীয়া আমজনতা ভয়ের মধ্যে রয়েছে। সংস্কৃতি এবং সভ্যতা নিয়ে ভয় রয়েছে। সম্প্রীতি ব্যবস্থাটি দুই দিক থেকেই থাকতে হবে। মুসলিমরাও সংস্কৃতি রক্ষা করার কথা বলুক, সম্প্রীতি হবে। ১০ বছর আগে আমরা সংখ্যালঘু ছিলাম না কিন্তু এখন আমরা সেই জায়গায় এসে গিয়েছি।”
একইসঙ্গে দ্য কাশ্মীর ফাইলস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লোকেরা আমাকে জিজ্ঞাসা করে যে অসমীয়ারা কাশ্মীরি পণ্ডিতদের মত একই পরিণতির মুখোমুখি হবে না তো? কাশ্মীর ফাইল সিনেমাটিতে যেমন দেখানো হয়েছে দশ বছর পরে অসমেও কি সেই একই জিনিস হবে? আমজনতার মন থেকে সেই ভয় দূর করার কর্তব্য মুসলিমদের।” তিনি বলেন, “মুসলিমদের অবশ্যই নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। আর আমাদের আশ্বাস দিতে হবে যে অসমে কাশ্মীরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।