Assam government, লাভ জিহাদ ও জমি জিহাদ রুখতে কড়া আইন আনছে অসম সরকার, অনুমতি ছাড়া হবে না জমি বেচা কেনা

আমাদের ভারত, ৫ আগস্ট: অসমে জমি জিহাদ রুখতে আইন আনছে ওই রাজ্যের সরকার। এবার অসমে হিন্দু-মুসলিমদের মধ্যে জমি কেনা বেচা আর খুব সহজে হবে না। এর জন্য অনুমোদন নিতে হবে সরকারের কাছে। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে আইন আনা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। একইসঙ্গে যোগী রাজ্যের উত্তর প্রদেশকে অনুসরণ করে লাভ জেহাদ বন্ধ করতেও কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে অসম সরকার। সে ক্ষেত্রে এই সব ঘটনায় অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত সাজা হতে পারে বলে জানিয়েছেন হিমন্ত।

রবিবার গুয়াহাটিতে বিজেপির কার্যনির্বাহী সভায় যোগ দিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এই নিয়ে দুটি আইন আনার কথা ঘোষণা করেছেন। হিমন্ত বলেন, অসম সরকার জমির জিহাদ এবং লাভ জিহাদ বন্ধ করতে দুটি আইন আনছে। যদি কোনো মুসলিম কোনো হিন্দুর জমি কিনতে চায় বা কোনো হিন্দু যদি কোনো মুসলিমের জমি কিনতে চায় তাহলে তাদের আগে সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া লাভ জিহাদের জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

পাশাপাশি সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নতুন নীতি আনতে চলেছে অসম সরকার। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, শীঘ্রই নতুন একটি নীতি চালু করা হবে। যার অধীনে শুধুমাত্র অসমে জন্মগ্রহণকারীরা রাজ্য সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এ বিষয়ে অসমে বিজেপির প্রধান ভবেশ কলিতা বলেন, রাজ্যের আদিবাসীদের সুরক্ষার জন্য জমি জিহাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জাতি, মাটি এবং ভিটে রক্ষা করার জন্য আমরা জমি জেহাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমরা একটি প্রস্তাব পেশ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।

এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে আদিবাসীদের আরো সুযোগ দেওয়ার জন্য নতুন নীতি আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা লাভ জিহাদ নিয়েও আলোচনা করেছি আগামী দিনে লাভ জিহাদ নিয়ে একটি আইনও করা হবে।

বিজেপি অসম এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যে বিদেশীদের প্রবল ভাবে অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন যে, ব্যাপক অনুপ্রবেশের ফলে ঝাড়খণ্ডে উপজাতির সংখ্যাও কমে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নাম না করে তিনি বলেন, ভোট ব্যাঙ্ক এবং তোষণের নীতির জন্য হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করেছে। আর এর ফলে স্থানীয়রা কর্মসংস্থানের সুযোগ হারাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *