ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ৭৫ বছর নিয়ে এএসআই-এর উপস্থাপনা

অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ১২ মার্চ:
কেবল প্রত্নতত্বের সন্ধান ও সংরক্ষণ নয়, তার বাইরেও সময় বিশেষে কিছু কাজ করে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (এএসআই)। শনিবার মেটকাফ হলের সভা ঘরে মিলল তারই একটা নমুনা।

এদিন সেখানে সম্বর্ধনা জানানো হয় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সহযোদ্ধা চণ্ডীচরণ দাসকে (জন্ম: ২৮ মার্চ ১৯২৮)। আমতা (হাওড়া) সরস্বতী শিশু মন্দিরের সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা চণ্ডীচরণ দাস দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ, আগস্ট আন্দোলন, ৫০-এর মন্বন্তর, স্বাধীনতা- সবই তাঁর দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা তাঁর স্বাধীনতা যুদ্ধে দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিপিন বিহারী গাঙ্গুলি। এ ছাড়া ছিলেন স্থানীয় নেতা ভোলানাথ মাল, কানাই লাল মন্ডল, পরেশ চন্দ্র মিত্র, হেমচন্দ্র দাস, তুলসী সরকার আরও অনেকে। শিখেছিলেন বোমা বাঁধা ও বোমা ছোড়ার কৌশল। বিপিনবাবু অবসর সময়ে ওনাদের নিয়ে ক্লাস করতেন। বলতেন, দেশ একদিন স্বাধীন হবেই। বলতেন, গ্রামের উন্নয়নের কথা। তাঁদেরই প্রচেষ্টা ও ভাবনাকে মাথায় রেখে পরে গ্রামে তৈরি হয় সমবায় কৃষি সমিতি, ম্যালেরিয়া সোসাইটি, দাতব্য চিকিৎসালয়, বয়স্ক শিক্ষা।

শনিবার মেটকাফ হলে তাঁর বিপ্লবী জীবনের স্মৃতিচারণ করলেন ৯৪ বছরের চন্ডীবাবু। এএসআই (কলকাতা সার্কল)-এর উদ্যোগে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ৭৫ বছর ’আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ উপলক্ষ্যে স্মরণ করা হয় এই অনুষ্ঠানের। বিশেষ আলোচনা ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামে মহিলাদের ভূমিকা নিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *