আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ৬ জানুয়ারি: দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপদার্থ বলে কটাক্ষ করলেন কৃষিমন্ত্রী তথা প্রাক্তন অধ্যাপক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে রামপুরহাটে ওই বিশ্ব বিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে একটি মিছিল শেষে একথা বলেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ ওঠে। আক্রান্ত হন ঐশী ঘোষ। এরই প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে রামপুরহাটে মিছিল বের করে তৃণমূল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে পাঁচমাথা মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আশিসবাবু বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয়ে বেনজির আক্রমণের পর উপাচার্জ পুলিশে অভিযোগ করলেন না। এই রকম উপাচার্যের জন্য আমি একজন শিক্ষক হিসাবে আমার লজ্জা হয়। এই উপাচার্য বিজেপির দালালি করছে”।
এদিকে আশিসবাবুর এই মন্তব্যকে হাস্যকর বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। হাঁসন কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, “দিল্লির ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। কিন্তু আশিসবাবুর মায়া কান্নার প্রতিবাদ করছি। একটু স্মরণ করিয়ে দিই, ২০১৭ সালে রামপুরহাট কলেজের ভিতরে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন ছাত্রপরিষদ নেতা। লাঠি, বাঁশ দিয়ে কলেজের মধ্যে তার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। কলেজের মধ্যে বোমা ফাটানো হয়। তখনও আশিসবাবু রামপুরহাট কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। আশিসবাবুকে সেদিনের ঘটনার জন্য লজ্জিত হতে দেখিনি। প্রতিবাদ করতে দেখিনি। থানায় অভিযোগ জানাতে তাকে উদ্যোগ নিতে দেখিনি। এমনকি যারা ছাত্রপরিষদ নেতাকে মারল তাদের কোনও শাস্তি হল না। সেদিন আশিসবাবু কি ধৃতরাষ্ট্র হয়েছিলেন? একজন অধ্যাপকের এই দ্বিচারিতার জন্য আমিও লজ্জা বোধ করছি”।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “যে দল কলেজে কলেজে ছাত্রদের রক্তাক্ত করে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়, সেই দলের মন্ত্রী দিল্লি নিয়ে মায়া কান্না দেখাচ্ছেন। ক্ষমতা থাকলে নিরপেক্ষ কলেজ নির্বাচন করে দেখান। আর কেন কলেজ নির্বাচন হচ্ছে না তার জবাব ছাত্রদের আগে দিন। তারপর দিল্লি নিয়ে ভাববেন”।