আমাদের ভারত,পশ্চিম বর্ধমান, ১৪ অক্টোবর:অতিমারির কারণে এবার দুর্গাপুজোর আয়োজনে ইতিমধ্যেই একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবার করোনা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে দুর্গাপুজোর আয়োজন করলে সেই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট সুকেশ জৈন। এদিকে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক ও পুর কমিশনার কোভিড আক্রান্ত।
বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় কড়া নাড়ছে। আর এই উৎসবকে ঘিরে আয়োজনও এখন তুঙ্গে। তবে সারা দেশের মত রাজ্যে করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই মেলেনি। তাই কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজো আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমণ আটকাতেই তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। ওই বৈঠকেই কমিটি গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোভিড রুখতে বেশকিছু নিয়ম পালন করার। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে একসাথে বহু মানুষের মন্ডপের ভেতর সমাগম ঘটানো যাবে না। একই নিয়ম বলবৎ থাকবে প্রতিমা নিরঞ্জনের ক্ষেত্রেও। পুজোকে ঘিরে করা যাবে না কোন মেলা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। হবে না কোনো আতশবাজি প্রদর্শন। পুজো প্যান্ডেলগুলিতে উপরের দিকে কিংবা দুপাশে খোলামেলা রাখতে হবে। প্রতিটি পুজো কমিটিকে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুরেশ জৈন বলেন, পুজোর সময় পুলিশের পক্ষ থেকে ১ লাখ এবং জেলাশাসকের পক্ষ থেকে ১ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। পুজো উদ্যোক্তাদের সমস্ত নিয়ম-নীতি বলে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও তারা যদি তা না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নিরঞ্জনের সময় কোন শোভাযাত্রা করা যাবে না। বহু মানুষের একসঙ্গে সমাগম ঘটানো যাবে না। প্রত্যেকটি থানার পুলিশ, সর্বজনীন হোক বা বনেদি বাড়ি কিংবা বহুতল আবাসনের পুজোর দিকে কড়া নজর রাখবে। কোথাও কোনো রকম নিয়ম ভঙ্গ করলে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
এদিকে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক ও পুর কমিশনার কোভিড আক্রান্ত। ফলে পুজোর সময় এই বিশাল যজ্ঞ সামাল দিতে প্রশাসনিক কাজ খানিকটা ব্যহত হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুর আসানসোলে ৯ টি পুজো উদ্ধোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বুধবারই রাজ্যে বারোয়ারি পুজো বন্ধ হোক, এই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হবে। দিন কয়েক আগেই চিকিৎসকদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে পুজোয় লাগাম টানার আর্জি জানানো হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল রাজ্য সরকার যদি পুজোর ভিড় সামাল দিতে না পারে তাহলে রোগীদের হাসপাতালে জায়গা দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না।