পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩ অক্টোবর: জুনিয়ার ডাক্তারদের পুনরায় আন্দোলন শুরু হতেই এবার উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখা গেল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রোগী ও তার পরিবারের লোকজনদের চরম বিক্ষোভ জুনিয়ার ডাক্তারদের ধর্না অবস্থান মঞ্চের সামনে। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হলো পুলিশকে। রোগীর বাড়ির লোকেরা জানিয়ে দেয়, “আন্দোলনকারীদের দাবিতে সহমত থাকলেও হাসপাতালে পরিষেবা বারবার বন্ধ করার অধিকার নেই। এতে প্রতিদিনই ভোগান্তি হচ্ছে রোগীর ও পরিবারের লোকজনদের। তাই অবিলম্বে পরিষেবা চালু না করলে পুরো হাসপাতালের দরজা বন্ধ করে দেবো আমরা।”
বৃহস্পতিবার নতুন করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তাররা কর্মবিরতি ঘোষণা করে দেয়। এর জেরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে টিকিট কাউন্টার পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাজারের বেশি রোগীর লোকেরা এসে দীর্ঘ লাইনের পরে পরিস্থিতি দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কেমোথেরাপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম জরুরি পরিষেবা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় বিক্ষোভ উত্তেজনা শুরু হয়ে যায় রোগীর লোকেদের মধ্যে। পরিস্থিতি দেখে সেখানে হাজির হয়ে যায় কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। জুনিয়ার ডাক্তারদের মঞ্চের সামনেই এই বিক্ষোভে উত্তেজনা বাড়তে দেখে পুলিশ জুনিয়ার ডাক্তারদের নিরাপত্তার দিকে জোর দেয়। বলে বিক্ষোভকারীদের বোঝানো শুরু করে পুলিশ। হাজির হয় কোতোয়ালি থানার আইসি নিজেও।
বিক্ষোভরত এক রোগী সেখ আফসার বলেন, “আমি গড়বেতা থেকে এসেছি। টিউমার বড় হয়ে গিয়ে চরম সঙ্কটময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আমার। আমি এতদূর থেকে চরম কষ্ট পেয়ে এখানে হাজির হয়ে সকাল থেকে লাইন দেওয়ার পর জানতে পারছি ডাক্তাররা দেখবেন না। তাহলে আমাদের মত গরিব মানুষ, যারা সরকারি হাসপাতালের উপর নির্ভর করে তারা কোথায় যাবে?”