যতক্ষণ হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, ততক্ষণই সেকুলারিজম প্লুরারিজম, কমিউনিজম থাকবে, না হলে থাকবে না : সুকান্ত

আমাদের ভারত, ৩ সেপ্টেম্বর:
নাগরিকত্ব প্রদানের মেয়াদ আর দশ বছর বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর তার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ধন্যবাদ জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীকে। আজ কলকাতায় আইসিসিআরে আয়োজিত “এক দেশ এক নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনায় বলতে গিয়ে দাবি করেছেন, ওপার বাংলা থেকে আসা দলিতদের জন্য আগে কেউ কখনো ভাবেনি, এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী ভাবলেন। তাঁর কথায় সেকুলারিজম, প্লুরারিজম, কমিউনিজম ততক্ষণই থাকবে যতক্ষণ হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে না হলে থাকবে না।

এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় সিএএ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, এসসি সমাজের মানুষ যোগেন মন্ডল এর ওপর বিশ্বাস করে ওপারে থেকেছেন। কিন্তু কি হলো যোগেন মন্ডলই কয়েক মাস পরে ওপার বাংলা থেকে পালিয়ে এলেন স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে সম্মান বাঁচাতে। পাকিস্তানের প্রথম বাঙালি মন্ত্রী আশ্রয় নিলেন এপার বাংলায়। এই বাংলা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় তৈরি করা। দলিত ভাইরা ওপার বাংলা অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে থাকতে বাধ্য হয়েছিল।

এর আগেও বাংলাদেশী শরণার্থীদের জন্য ক্যাম্প খুলে ছিলেন সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটে নিজের দপ্তরেই। ক্যাম্প খুলে শরনার্থীদের সি এএ তে আবেদন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করেন। প্রথম থেকেই তিনি বলে এসেছেন, কিভাবে ওপারে অত্যাচারিত হয়ে এপারে এসেছেন দলিতরা।

আজকের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তাঁর সংযোজন ১৯৪৭ সালের পর থেকে ক্রমাগত ভারতে আসতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। মহিলাদের ওপর ক্রমাগত অত্যাচার করা হয়েছে। আজ তাদের অনেকেই বামপন্থী নেতা হয়েছেন। সেকুলারিজম শিখিয়েছেন। কিন্তু সত্যিটা হলো সেকুলারিজম, প্লুরারিজম, কমিউনিজম ততক্ষণই থাকবে যতক্ষণ হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে নচেৎ থাকবে না।

সুকান্ত মজুমদারের কথায় বছরের পর বছর তারা ভারতে আসছেন কেউ তাদের কথা ভাবেননি। এই প্রথম নরেন্দ্র মোদী ভেবেছেন এবং সিএএ আইন পাস করিয়েছেন। আবেদনের মেয়াদ আরো দশ বছর বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ২০২৪ পর্যন্ত ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আসা শরণার্থীদের জন্য পদক্ষেপ করেছে মোদি সরকার। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের অমুসলিম শরনার্থীরা ভারতে আশ্রয় পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *