আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৬ অক্টোবর: আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা। সাম্প্রতিক নিম্নচাপজনিত বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ বেশ কয়েকটি জেলার ফুলের চাষ ভীষণভাবে ক্ষতি হওয়ায় পদ্ম ছাড়া সমস্ত রকম ফুল আজকের বাজারে ছিল বেশ চড়া।
লক্ষ্মীপুজোর দিনে আজ কলকাতার মল্লিকঘাট ফুলবাজার সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট, দেউলিয়া প্রভৃতি ফুলবাজারে টাটকা পদ্মের দাম ছিল গড়ে ৮-১০ টাকা প্রতি পিস, ঝুরো লাল গাঁদা ১৪০-১৫০ টাকা, হলুদ গাঁদা ১৮০-২০০ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন ফুট সাইজের লম্বা লাল গাঁদা ফুলের এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ২০-২৫ টাকায়। ওই একই সাইজের হলুদ এক একটি মালা বিক্রি হয়েছে ২৫-৩০ টাকায়।
অন্যদিকে দোপাটি ঝুরো প্রতি কেজি দাম ছিল ৭০-১০০ টাকা, অপরাজিতার দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা প্রতি কেজি। এক কিলো রজনীগন্ধার দাম ছিল ৫০০-৬০০ টাকা। হাজার জবার কুঁড়ির দাম ছিল ২৫০-৩০০ টাকা। খুচরো বাজারে ওই ফুলের দাম ছিল আরও খানিকটা বেশি।
মূলতঃ দোপাটি, গাঁদা, অপরাজিতা, রজনীগন্ধা সহ বিভিন্ন ধরনের পাপড়িযুক্ত ঝুরো ফুলের মধ্যে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়ে পাপড়ি পচে ফুলের গুণমান নষ্ট হয়েছে। সেই কারণে লক্ষ্মীপুজোয় বিপুল চাহিদা পূরণে ফুলের যোগানের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় স্বভাবতই পদ্ম ছাড়া সমস্ত ফুলের দাম বেশ চড়া।
সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে রাজ্যে পদ্মফুল ছাড়া সমস্ত ফুলেরই দাম ছিল বেশ চড়া। সাম্প্রতিক নিম্নচাপের জেরে পাপড়িযুক্ত বিভিন্ন ঝুরো ফুলের ভীষণ ক্ষতি হওয়ায় লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে ফুলবাজারগুলিতে ঝুরো ফুলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলস্বরূপ এই দাম বৃদ্ধি।

