আমাদের ভারত, ২৩ অক্টোবর:পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং এর বন্ধু পাকিস্তানি সাংবাদিক আরুষি আলামের সঙ্গে পাকগুপ্তচর সংস্থা আইএসআই যোগ রয়েছে। সেই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পাঞ্জাব রাজনীতি। এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিতে সেই আরুষি আলামের সঙ্গেই সোনিয়া গান্ধীর ছবি পোস্ট করেছেন অমরিন্দর সিং।
অমরিন্দরকে ঘিরে যখন বিতর্ক তুঙ্গে ঠিক তখনই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আরুষি আলামের ছবি পোস্ট করে নয়া জল্পনার জন্ম দিয়েছেন ক্যাপটেন। পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুরজেন্দ্র সিং জানিয়েছেন আরুষির সঙ্গে আইএসআইয়ের যোগাযোগ আছে কিনা তা তদন্ত করা হবে। ইতিমধ্যেই পাঞ্জাবের ডিজিপিকে তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন অমরিন্দরের মিডিয়া উপদেষ্টা রবিন ঠুকরাল। তিনি লিখেছেন, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলায় নজর না দিয়ে একটি ভিত্তিহীন তদন্তের দায়ভার চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে ডিজিপির ওপর। অমরিন্দর কথা উদ্ধৃত করে তিনি লিখেছেন, সুখজেন্দ্র এখন ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমেছেন।
আরুষি আলম পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সাংবাদিক হিসেবে বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। ২০০৪ সালে পাকিস্তান সফর থেকে তার অমরিন্দরের সঙ্গে পরিচয়। তারপর নানা কর্মসূচিতে দুজনকে একসাথে দেখাও গিয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অমরিন্দরের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও ভিআইপি অতিথির আসনে ছিলেন তিনি। সে প্রসঙ্গ টেনে পাঞ্জাবের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে ছিলেন আরুষি। তার ভিসার মেয়াদ সময় সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি কেন তার ভিসা বাতিল করেনি? আমরা অমরিন্দরের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পরই কেন তিনি ভারত ছাড়লেন? এইসব বিষয়ে তদন্ত করে দেখা হবে।
ক্যাপ্টেন অমরিন্দর এর পাল্টা জবাবে বলেছেন, “আপনি আমার মন্ত্রিসভায় ছিলেন। আপনাকে কোনওদিন আরুষির বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখিনি। ভারত সরকার অনুমতি দিয়েছে বলেই আরুষি গত ১৬ বছর ধরে ভারতে আসছেন। তাহলে কি আপনি বলতে চাইছেন কংগ্রেস পরিচালিত ইউ পি এ আর এনডিএ সরকার আইএসআইকে গোপনে সাহায্য করেছে?”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই অমরিন্দর জানিয়েছেন, কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়ে ২০২২ এ পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট করতে চান তিনি। বিজেপিও তার এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে।