আমাদের ভারত, ২৯ জানুয়ারি: বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ব্যারাকপুর। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের খন্ড যুদ্ধ বেধে যায়। পরে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র সহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে টিটাগর থানার পুলিশ। এর পরে ওই মহিলা কর্মীদের ছাড়াতে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অনেকে আবার রাস্তার উপর শুয়ে পড়েন।
বিজেপি নেতার দাবি, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে, আঙ্গুল বেঁকা করতে হয়। পুলিশ অন্যায় ভাবে কয়জন মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। যাদের উপর অত্যাচার হল, তাদেরই লকআপে পুড়েছে। আমরা ওই মহিলা কর্মীদের ছাড়াতে এই অবস্থান বিক্ষোভে বসেছি। পুলিশ যতক্ষণ না মহিলাদের ছাড়বে ততক্ষণ আমরা এই অবস্থায় বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।
সোমবার দুপুরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ব্যারাকপুর। বিজেপির আইন অমান্য কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেধেছিল পুলিশের। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে চলা এই কর্মসূচিকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চার্জ, জল কামান, কাঁদানে গ্যাস, এমনকি লাথি, চড়- থাপ্পড় মারতেও ছাড়েনি।
পুলিশের লাঠিতে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তারা স্থানীয় বি এন বোস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিক্ষোভের পর হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে ফেরার পরই কর্মীদের নিয়ে টিটাগড় থানা ঘেরাও করেন তিনি। বিটি রোডের ধারে বিজেপির এই বিক্ষোভ ও ধর্নার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মুশকিলে পড়েছে নিত্য যাত্রীরা। বহু বাস ও গাড়ির রুট ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।