আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৯ মার্চ: ফরেন্সিকের নিশানায় সেই চায়ের কাপ। ইছাপুরে বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় তদন্তে ফরেন্সিক দল। চা খেয়ে ঠান্ডা মাথায় খুন বলে অনুমান।
ইছাপুরের নতুনপাড়ায় বৃদ্ধা খুনের ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাফল্য পেল নোয়াপাড়া থানার পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় নোয়াপাড়া থানার অন্তর্গত লেনিন নগর থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় অঞ্জন চৌধুরী নামে এক ব্যক্তিকে।
সূত্রের খবর, ৬ বছর আগে রেল দুর্ঘটনায় ধৃত অঞ্জন চৌধুরী এক পা বাদ গেছিল। সেই পায়ের চিকিৎসার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন ছিল তার জন্য মৃতার কাছে আসতেন ধৃত ব্যক্তি। আর সেখান থেকেই কোনো গণ্ডগোল আর এই হত্যার ঘটনা বলে পুলিশের অনুমান। তবে এই ঘটনার তদন্তে আরো গতি আনতে ইছাপুরের নতুনপাড়ায় মৃতার বাড়িতে এলো চার সদস্যের ফরেন্সিক দল। ঘরের মধ্যে ছড়ানো নানা জিনিস পত্রের নমুনা সংগ্রহ করে তারা। যে চায়ের কাপই পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিলো খুনি অঞ্জনকে।
পুলিশ সূত্রের খবর অনুযায়ী, পায়ের অপারেশনের জন্য
অঞ্জন চৌধুরী ৮০,০০০ টাকা চেয়েছিল শিক্তা চ্যাটার্জির কাছে। গত রবিবার ২০০০০ টাকা দেওয়ার কথা ছিলো শিক্তা দেবীর। কিন্তু সেই টাকা না দেওয়ায় রেগে যায় অঞ্জন। এরপর চা খাওয়ার পরই অঞ্জন শিক্তা দেবীকে খুন করে বলে মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপরে বাড়ির দরজা ভেজিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় অঞ্জন। সে ভেবেছিলো খুন করে পার পেয়ে যাবে, পুলিশ ধরতে পারবে না। কিন্তু পাশের বাড়ির
সিসিটিভি’র ফুটেজ আর ফেলে যাওয়া চায়ের কাপই যে তাকে ধরিয়ে দেবে, তা ভেবেই উঠতে পারছে না সে। তবে এমন ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ধৃত অঞ্জন মৃতার পূর্ব পরিচিত ছিল। আর প্রতিবেশীরা বেশ কয়েকবার অঞ্জনকে ওই গলিতে ঢুকতে বেরতে দেখেছিল।
এদিন ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকরা তদন্ত করে বেড়িয়ে বলেন, “আমরা বেশ কিছু বায়োলজিক্যাল তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছি। এগুলো ল্যাবে টেস্ট করে দেখা হবে। তবে কি ভাবে ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনি আমরা বলবো না।”
বৃদ্ধা শিক্তা দেবীর মৃত্যুতে জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসীরা।