আমাদের ভারত, ৪ নভেম্বর: অর্ণব গোস্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে তীব্র ভাবে কংগ্রেসের সমালোচনা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লিখেছেন অর্ণব গোস্বামীর গ্রেপ্তার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপের সমান। তিনি আরোও বলেন ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের উপর আঘাত করা হয়েছে যা মনে করিয়ে দিচ্ছে জরুরি অবস্থার কথা। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা। কংগ্রেস ও তার সহযোগী শক্তিরা আবারও লজ্জা দিচ্ছে গণতন্ত্রকে।
অমিত শাহ টুইট করে লিখেছেন,”কংগ্রেস এবং তার সঙ্গীরা আবারও গণতন্ত্রকে লজ্জিত করেছে। অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।”
প্রকাশ জাভড়েকর লিখেছেন, মুম্বাইয়ের প্রেস সাংবাদিকের ওপর হামলা নিন্দনীয় এটি জরুরি অবস্থার মতই। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র লিখেছেন অসত্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ না ওঠালে আজ যেটা অর্ণবের সঙ্গে হয়েছে সেটা আপনার সঙ্গে হতে পারে।
বুধবার সাত সকালে মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রিপাবলিকান টিভির সাংবাদিক অর্ণব গোস্বামীকে। ২০১৮ সালে ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার তথা আরকিটেক্ট অন্বয় নায়েক এবং কুমুদ নায়েকের মৃত্যুর ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে। গ্রেপ্তারের সময় অর্ণবের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় মুম্বাই পুলিশের। ধস্তাধস্তি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। একইসঙ্গে তার স্ত্রী ছেলে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে পুলিশ বলে অভিযোগ।
৫৩ বছরের অন্বয় নায়েক ও তার মা দুবছর আগে আলিবাগে আত্মহত্যা করে নিজের সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন যে একজন নিউজ চ্যানেলের সম্পাদক ও অন্য দুজনের কাছ থেকে তিনি ৫.৪ কোটি টাকা পান। মামলাটি ২০১৯ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর মৃতের স্ত্রী আবার তার স্বামীর মৃত্যুর মামলাটি পুনরায় খোলার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। এরপরই আদালতে মামলাটি পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি নেতাদের দাবি কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবেই এই কাজ করাচ্ছে এবং এভাবে তারা আঘাত হেনেছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে।