আমাদের ভারত, ২ ফেব্রুয়ারি: উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে খুন হয়েছে এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। আর তারপর থেকেই এলাকা উত্তাল। বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ভাঙ্গচুর চলছে। খুনের ঘটনায় ইছাকৃতভাবে নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি নেতা কর্মীদের। বিজেপির অভিযোগ, নৈহাটিতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে অর্জুন সিং- এর। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, অর্জুন সিংকে টার্গেট করছে রাজ্যের শাসক দল।
সুকান্ত মজুমদারের কথায়, অর্জুন সিং তৃণমূল কংগ্রেসের টার্গেট। ওরা যেনতেন প্রকারে অর্জুন সিংকে তৃণমূলে যোগদান করাতে চায়। কারণ অর্জুন বিজেপিতে থাকলেই লড়াই করবে। হিন্দুদের হয়ে লড়াই করবে আর সেই কারণেই টার্গেট করা হয়েছে অর্জুন সিংকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে টিকিট না পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে। ব্যারাকপুর থেকে সংসদ হয়েছিলেন। তার কয়েক মাস পরে আবারও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যান তিনি। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে তৃণমূল অর্জুনকে টিকিট দেয়নি। তাই আবারও দল বদলে পদ্ম শিবিরে গিয়ে টিকিট পেলেও হেরে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের কাছে।
নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, নৈহাটিতে আমাদের ২২ জন কর্মীর উপর হামলা হয়েছে এবং এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা হয়েছে যার সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। দুই ব্যক্তির মধ্যে রেষারেষির কারণেই সমস্যা। যে ব্যক্তি খুন হয়েছে ২০২১-২২ সালে তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে গুলি চালানোর। অতএব সেও ধোয়া তুলসী পাতা নয়। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারও বলেছেন, এই ঘটনায় রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। অথচ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বার বার বিজেপির উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। আমি দাবি করছি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই সবটা হচ্ছে। সেটা কোচবিহার হোক আর ব্যারাকপুর হোক। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, বিধানসভা ভোট চলে এসেছে। ভয় দেখানো হলে তবেই উনি জিতবেন। না হলে জেতার কোনো চান্স নেই। চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, যতই ভয় দেখান বিজেপি নেতা নেত্রী ময়দান ছেড়ে যাবে না। এর শেষ দেখে ছাড়বে। যতক্ষণ না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিংহাসন থেকে নামাচ্ছি ততক্ষণ পর্যন্ত বিজেপির লড়াই থামবে না।