জয় লাহা, আমাদের ভারত, দুর্গাপুর, ৭ ডিসেম্বর: পড়াশোনায় মাঝপথে ইতি টেনে শারীরিক গঠনে জোর দিয়েছিল। আজ সেটাকেই জীবনের মূল লক্ষ্য করে আন্তর্জাতিক স্তরে আবারও ব্রোঞ্জ জয়। মুম্বইয়ে ইন্টারন্যাশনাল হেল্থ স্পোস্টস এবং ফিটনেস ফেস্টিভ্যাল দ্বারা আয়োজিত অলিম্পিয়া দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান জয় করল বুদবুদের আরিফ। তার এই জয়ে গর্বিত বুদবুদ সহ গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলাবাসী।
শেখ আরিফ। বুদবুদের মসজিদ তলার বাসিন্দা। সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত হওয়া সাউথ এশিয়ার দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। পরিবার সুত্রে জানা গেছে, ছোটো থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি শারীরিক গঠনের দিকে ঝোঁক ছিল আরিফের। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর বিবিএ নিয়ে ভর্তি হয়। কিন্তু ফাস্ট সেমিস্টার সম্পন্ন করার পরই পড়াশোনায় ইতি টেনে বডি বিল্ডিংয়ে জোর দেয়। তার বাবা শেখ আখতার, বুদবুদ বাজারেই তার মাংসের দোকান রয়েছে। তিনি জানান, “ছেলের ইচ্ছাতে কখনই হস্তক্ষেপ করিনি। ছোটো থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি বডি বিল্ডিং নিয়ে বেশি পড়ে থাকত। এলাকায় একটি জিমে নিয়মিত অনুশীলন করত। পরে বাড়িতেই জিম তৈরী করা হয়।” ইতিমধ্যে জেলা ও রাজ্যস্তরে বিভিন্ন খেতাব জুটেছে। মিঃ বেঙ্গল খেতাবও পেয়েছে। এছাড়াও জাতীয় স্তরেও পদক পেয়েছে। বর্তমানে নিজের শারীরিক গঠনের পাশাপাশি এলাকার যুবকদের কোচিং দেয়। এছাড়াও পানাগড় সেনাছাউনির অনেক সেনা অফিসারও কোচিং নেয় আরিফের কাছে। গত ৩, ৪, ৫ ডিসেম্বর মু্ম্বাইয়ে ইন্টারন্যাশনাল হেল্থ স্পোর্স্টস এবং ফিটনেস ফেস্টিভ্যাল দ্বারা আয়োজিত অলিম্পিয়া দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতা হল। সেখানে সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিল শেখ আরিফ। ৭০ কেজি বিভাগে চতুর্থ স্থান দখল করে ব্রোঞ্জ পদক জয় করে। এর আগে নেপালে সাউথ এশিয়া দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগতায় ৬৫ কেজি বিভাগে প্রথম হয় আরিফ। সেখানে প্রথম হয়ে সোনা জয় করেছিল।
মঙ্গলবার বুদবুদে ফিরে আরিফ জানায়, “লক্ষ্য আছে অলিম্পিকে অংশ নেব। দেশের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সোনা জয় করব। সেই প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।”
অন্যদিকে আরিফের ব্রোঞ্জ জয়ে গর্বিত তার পরিবার, বুদবুদবাসী ও গোটা পূর্ব বর্ধমান জেলা।