“ইন্টারন্যাশানাল গ্ল্যাম আইকন ২০২১”  প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন খড়্গপুরের তরুণী অর্চিষা পরাশর

জে মাহাতো, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৩ অক্টোবর: সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত “ইন্টারন্যাশানাল গ্ল্যাম আইকন- ২০২১” শিরোনামের আন্তর্জাতিক স্তরের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর লোকাল থানার  মাতকাতপুরের বাসিন্দা বছর কুড়ির তরুণী অর্চিষা পরাশর। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় তিনি “ফার্স্ট রানার আপ” নির্বাচিত হয়েছেন। কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিযোগী হিসেবে গত ১৮ অক্টোবর মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল ক্লাব এর্মাল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল গ্ল্যাম আইকন-২০২১, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন অর্চিষা। ওইদিনই প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন, হিন্দি চলচ্চিত্র ও সিরিয়াল জগতের অভিনেতা ও সঞ্চালক আমন বর্মা, রাজা মুরাদ, সিমরান আহুজা, গৌরব দেশমুখ প্রমুখ সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্ট জনেরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অর্চিষা মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের  প্রয়াত অধ্যাপক চিকিৎসক ডাঃ অর্ধেন্দু শেখর মাইতির নাতনি।অর্চিষার বাবা সঞ্জীবন পাল পেশায় চাকুরিজীবী, মা শাশ্বতী মাইতি পাল গৃহবধূ। বাবা-মায়ের একমাত্র কন্যা অর্চিষা। শুক্রবার মুম্বাই থেকে খড়্গপুরের মাতকাতপুরের (মোহনপুর) বাড়িতে ফিরেছেন অর্চিষা। তিনি জানান, ইন্টারন্যাশনাল গ্ল্যাম আইকন কনটেস্টে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী (ফার্স্ট রানার আপ) হওয়ার পাশাপাশি, তাঁকে আরও দু’টো পুরস্কার বা সাব টাইটেল দেওয়া হয়েছে। তিনি মিস বিউটিফুল আইস( “Miss Beutiful Eyes”) এবং মোস্ট ট্যালেন্টেড( “Most Talented”) সাব টাইটেল শিরোপাও পেয়েছেন। অর্চিষা জানিয়েছেন, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য তিনি তিনমাস আগে থেকেই গ্রুমিং সেশনে অংশ নিয়েছিলেন।  প্রতিযোগিতার সব থেকে আকর্ষণ ছিল, প্রত্যেক প্রতিযোগী তাঁদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরেছিলেন, সূচনা পর্বে বা ইন্ট্রোডাকশান রাউন্ডে। অর্চিষার কথায়, “যা আমাদের মাতৃভূমি ভারতের সংস্কৃতির ঐক্য ও বৈচিত্র্যকে ফুটিয়ে তুলেছিল।” প্রসঙ্গত, অর্চিষার বড়ো হয়ে ওঠা খড়্গপুরের মাতকাতপুরেই।আইআইটি খড়্গপুরের ডিএভি মডেল স্কুলে তিনি পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে কলকাতায় এনএসএইচএম (NSHM)নলেজ ক্যাম্পাসে বিসিএ পড়ছেন। অর্চিষা অন্যতম প্রিয় বিষয় নৃত্য ও অঙ্কন।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *