আমাদের ভারত, ১৫ জুলাই: সংস্কৃত ভাষাকে অবলুপ্তির হাত থেকে বাঁচাতে জনগণনায় জানা ভাষা হিসাবে এই ভাষার উল্লেখ করার আবেদন করা হয়েছে।
শিক্ষাবিদ-লেখিকা পূর্বা সেনগুপ্ত সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “আমাদের একটি স্টাডি সার্কেল গ্রুপ আছে। যারা RMIC, Golpark এ Vivekananda Study Circle- এর সদস্য ছিলাম তাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সেখানে থেকে এই আবেদনটি আমার কাছে এসেছে। সুস্মিতা, আমাদের এক বোন এক সন্ন্যাসিনীর আবেদন আমাদের শেয়ার করেছেন। আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করলাম। বিষয়টি চিন্তা করার মতো।”
‘বিনম্র নিবেদনে’ সন্ন্যাসিনী সুস্মিতা লিখেছেন, “একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুরোধ – ভারতের জনগণনা মার্চ ২০২৭ সালের মধ্যে সম্পন্ন হতে চলেছে। শীঘ্রই একজন জনগণনা কর্মকর্তা আপনার কাছে এসে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
যখন তিনি আপনাকে আপনার মাতৃভাষা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং এরপর জানতে চাইবেন আপনি কোন কোন ভাষা জানেন, তখন অনুগ্রহ করে সংস্কৃত ভাষাটিকেও অবশ্যই তালিকাভুক্ত করুন আপনি যেসব ভাষা জানেন তার মধ্যে। হয়তো সবাই সংস্কৃত ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন না, কিন্তু আমরা সবাই কমবেশি প্রতিদিনের প্রার্থনা, জপ, শ্লোক, পূজা ও বিভিন্ন রীতি-নীতিতে এই ভাষা ব্যবহার করি।
গত জনগণনা অনুসারে, সমগ্র দেশে সংস্কৃত ভাষাভাষীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২০০০ জন। অন্যদিকে, আরবি ও ফারসি ভাষাভাষীদের সংখ্যা ছিল তার চেয়ে অনেক বেশি, এবং তারা সরকারি অনুদান ও সহযোগিতাও পেয়ে থাকে।
যদি সংস্কৃতকে ‘লুপ্তপ্রায় ভাষা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তাহলে আমাদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ, বেদ, পুরাণ প্রভৃতির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা আমাদের মূল শেকড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ব এবং আমাদের পূজা-পদ্ধতি কেবলমাত্র ডিজে বাজানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে। সংস্কৃত হল ভারতের প্রাচীনতম ও অতুলনীয় সুন্দর ভাষা। এটি সব ভাষার জননী। এই ভাষাটিকে জীবিত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
যদি সংস্কৃত ‘লুপ্ত ভাষা’ হিসেবে চিহ্নিত হয়, তবে এর উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য সরকারি কোনও তহবিল বা সহায়তা আর থাকবে না। হয়তো আমরা একে চিরতরে হারিয়ে ফেলব। শুধু আমাদের সচেতন প্রয়াসই সংস্কৃতকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।
আপনি যদি এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হন, তাহলে অনুগ্রহ করে এই বার্তাটি আপনার সব বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিন।
জয়তু ভারত।”
মঙ্গলবার বেলা প্রায় ১২টায় প্রতিক্রিয়া এসেছে ৭২টি। প্রায় প্রতিটিতেই সমর্থন পেয়েছেন।