আমাদের ভারত, রামপুরহাট, ২৮ ডিসেম্বর: বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনার ইঙ্গিত দিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শনিবার মুরারই ১ নম্বর ব্লকের পশুরহাটে নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ বিরোধী প্রকাশ্য জনসভায় এই ইঙ্গিত দেন তিনি। সেই সঙ্গে নাম না করে ‘মিম’কে দাঙ্গাবাজের দল বলে কটাক্ষ করেন। দলের নির্দেশে শনিবার সর্বত্র একদিনের ধর্না মঞ্চে বসেছেন বিধায়করা। মুরারইয়ে ধর্নামঞ্চ না করে এদিন জনসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা সহ সভাপতি রানা সিং, সৈয়দ সিরাজ জিম্মি, জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, কর্মাধ্যক্ষ আসগার আলি।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে মুরারই বিধানসভার ভোটের ভিত্তিতেই তৃণণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের দিল্লি যাত্রা নিশ্চিত হয়েছে। সেই জন্য আমরা আপনাদের ধন্যবাদ জানাই”। এরপরেই বলেন, “২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এগিয়ে নিয়ে আসেন তাহলে আপনারা সঙ্গে থাকবেন তো”? মানুষ হাত তুলে সমর্থন করতেই অনুব্রত মণ্ডল নাম না করে মিমের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা এককাট্টা হয়ে থাকবেন। কিছু পয়সা দিয়ে ডাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। কিছু অজাত মানুষ আছে তারা পয়সা দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করবে। তাতে আপনারা পা দেবেন না। ভুল করবেন না। আপনাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে”। কেন্দ্রীয় আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে মুরারই এলাকায় মিমের প্রভাব বেড়েছে। মুরারই এলাকায় নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করে মুরারইয়ে একাধিক মিছিল করে মানুষ। সেই আন্দোলনে মিমের প্রভাব ছিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক দল গুলি। চোরাস্রোতের মতো মিমের সংগঠন বৃদ্ধিতে অনুব্রত উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রাজনৈতিকভাবে তার মোকাবিলার ডাক দেন। মিম সম্পর্কে জনতাকে সাবধান করে দেন জেলা সভাপতি।
এনআরসি ও সিএএ প্রসঙ্গে অমিত শা’কে মাথামোটা বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত। পাশাপাশি বিজেপি ও তাদের দলের নেতাদেরও প্রকাশ্যে হুমকি দেন। তিনি জানিয়ে দেন কেন্দ্র যদি হিংসাতে জবাব চায় তো আমরা হিংসাতেই জবাব দেব। কারণ আমরা সংগঠনের ভিত্তিতেই রাজনীতি করি। যে পথে জবাব চাইবে তাদের সেই পথেই দেব।