আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ১৪ ফেব্রুয়ারি: নামেই শিশু উদ্যান, দেখা নেই শিশুদের। বালুরঘাটে বনদপ্তরের তৈরি সবুজে ঘেরা বাগানে টাকা দিয়ে চলছে যুবক-যুবতীদের নানা কুকর্ম। ছোট ছোট শিশুদের জন্য প্রশাসনিক ঘেরাটোপে তৈরি ওই শিশু উদ্যানে সকাল থেকে রাত অবধি চলছে নানা অশ্লীল কাজকর্ম। প্রশাসনিক উদাসীনতায় সরকারি ওই পার্কে দিন দিন এমন অশ্লীল কাজকর্ম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা লজ্জায় মুখ ফিরিয়েছেন শিশুর অভিভাবকরা। ফলে শিশুহীন ওই পার্কে এখন টাকা দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দেদার ফুর্তি লুটছে শহর ও শহরতলির বিভিন্ন ছেলে মেয়েরা। প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের বাসস্থানস্থল বালুরঘাটের বেলতলাপার্ক এলাকার এমন ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষজন।
বালুরঘাট বনবিভাগ উদ্যান ও কানন বিভাগের উদ্যোগে শহর ও শহরতলী এলাকার শিশুদের জন্য বেশ কয়েকবছর আগে বেলতলাপার্ক এলাকায় তৈরি হয় শিশু উদ্যান। সবুজে ভরা শিশু উদ্যান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে বন দপ্তর। যার এক পাশে রয়েছে পুলিশ লাইন, অপর পাশে সার্কিট হাউজ। পেছনে রয়েছে জেলা পুলিশ সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলা শাসক সহ প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তাদের আবাস স্থল। তার সামনে শিশু উদ্যানে সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত চলছে যুবক-যুবতীদের অশ্লীল কাজ কর্ম। সরকারি নজরদারিতে চলা ছেলে মেয়েদের এমন কুকর্মের জেরে শিশুদের নিয়ে শিশু উদ্যান মুখী হওয়া বন্ধ করেছেন অভিভাবকরা। দিনের পর দিন নয়, বছরের পর বছর প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অশ্লীল কাজকর্ম চললেও কোন হেলদোল নেই প্রশাসনের বলে অভিযোগ।
জানা যায়, বনদপ্তরের নিয়ন্ত্রনাধীন ওই শিশু উদ্যানে ৬ থেকে ১২ বছর বয়সীদের জন্য ১০টাকা এবং তার চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ২০ টাকা টিকিট ধার্য রয়েছে। যে টিকিট কেটেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সবুজের আড়ালে ফুর্তি লুটছে অল্প বয়সীরা। আর যাকে ঘিরেই প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়েছেন সাধারণ বাসিন্দারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য পার্কটি তৈরি হলেও সেখানে ভিড় করে যুবক যুবতীরা। শুধু তাই নয় প্রশাসনিক ঘেরাটোপে ওই উদ্যানে চলছে অশ্লীল কাজকর্ম। যা দেখে অভিভাবকরা তাঁদের শিশুদের আর ওই পার্কে নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।
বালুরঘাট বন দপ্তরের আধিকারিক আব্দুর রেজ্জাক জানিয়েছেন, পার্কস অ্যান্ড গার্ডেন বিভাগের অধীনে রয়েছে শিশু উদ্যানটি। শিশুদের জন্য ওই উদ্যানটি থাকলেও বড়োরাই সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।