আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৫ ডিসেম্বর: এনআরসি ও ক্যাবের বিরুদ্ধে রবিবার ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল করেছে জেলা তৃণমূল। কেশপুরে যুব কংগ্রেসের কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করে। এদিন মেদিনীপুর শহরে বিদ্যাসাগর হল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে তৃণমূলের মিছিলের সূচনা হয়। মিছিলে জেলার পর্যবেক্ষক তথা পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি এবং জেলা ও ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। মিছিলে কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক যোগ দেন।
এদিন সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে আন্দোলনের নামে যা হয়েছে, সেটা একবারেই অনুচিত। এতে আন্দোলনের মূল ধারা নষ্ট হচ্ছে। যারা এগুলো করছেন, তারা গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার না মেনেই করছেন। মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার বলেছেন, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। যারা ট্রেন, বাস পোড়াচ্ছে, তারা আন্দোলনের জন্য করছে না, তারা সমাজবিরোধী, তাদের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ। তবে তিনি এও বলেন, এখন পরস্পর বিরোধী মন্তব্য না করে দায়িত্বশীল লোকজনদের এগিয়ে এসে স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরী করা এবং যারা এই কাজ গুলো করছে তাদের বিচ্ছিন্ন করা। বিজেপি ও ভারত সরকার চাইছে আন্দোলনটা অন্য জায়গায় চলে যাক, আমাদের উচিৎ নয় ঐ জায়গায় নিয়ে যাওয়া, আমাদের উচিৎ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগঠিত করা। মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব নিয়ে সরকারি ভাবে বলেছেন, বাংলায় তৃণমূল সরকার যতদিন আছে এনআরসি, সিএবি হবে না। তাই আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা, ভরসা রাখা উচিৎ এবং গণতান্ত্রিক ভাবে মিছিল, মিটিং করে প্রতিবাদ জানাতে হবে। রাস্তা অবরোধ, ভাঙ্গচুর নয়, জনমত তৈরী করতে হবে আমাদের।
পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ১১ টি বাস ভাঙ্গচুর ও পোড়ানো হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ। কেশপুরে এদিন যুব কংগ্রেসের প্রতিবাদ মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুল। ঝাড়গ্রাম জেলার বেলিয়াবেড়া রান্টুয়া এবং গিধনীতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে এনআরসি ও ক্যাব এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল হয়েছে।