আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৬ আগস্ট: “আমফান দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্যই উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের প্রাক্তন চেয়ার ম্যান অংশুমান রায় কে তাঁর পৌর প্রশাসকের পদ থেকে সরানো হয়েছে। “বারাসাতের জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে বেরনোর পর সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুধু তাই নয়, আমফান দুর্নীতিতে যুক্ত ৮৭ জনকে শো কজ করা হয়েছে, অধিকাংশই পুরসভা, পঞ্চায়েতের পদাধিকারী, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হলেই হালিশহর পুরসভার পুরপ্রধানের যা অবস্থা হয়েছে, সবার একই অবস্থা হবে বলে জানালেন খাদ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত মাস খানেক আগে হালিশহর পৌর সভার পৌর প্রশাসক অংশুমান রায় তার পৌর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দেন। দুই বারের নির্বাচিত পৌর প্রধান অংশুমান রায় সেই সময় পৌর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিয়ে জানান, “আমি ব্যক্তিগত কারনে পৌর প্রশাসকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি আমার পরিবারের সাথে একান্তে সময় কাটাতে চাই তাই পৌরসভার সমস্ত কাজ ও পৌর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দিচ্ছি। তবে আমি তৃণমূল দল ছাড়ছি না।”
কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তার এই দাবি উড়িয়ে দিলেন খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বারাসাত জেলা শাসকের দপ্তরে এক প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিতে এসে আমফান দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলেন “আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য যে সরকারি অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল তাদের মধ্যে বেশিরভাগকেই তাদের প্রাপ্য ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়ে গেছে। এই অর্থ নিয়ে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করছে দল।”
তিনি আমফান দুর্নীতি নিয়ে বলেন, “ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ৮৭ জন পদাধিকারিকে আমফান দুর্নীতিতে জড়িত সন্দেহে শো কজ করা হয়েছে। এদের মধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান তেমনিই রয়েছে হালিশহরের প্রাক্তন পৌর প্রধান তথা পৌর প্রশাসক অংশুমান রায় ।”
খাদ্য মন্ত্রী প্রকাশ্যে জানিয়ে দিলেন, “আমফান ত্রাণের অর্থ নিয়ে দুর্নীতি করার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে, দল তার তদন্ত শুরু করেছে।ইতিমধ্যে আমফান ইস্যুতে যারা সরকারের টাকা অন্যায় ভাবে নিয়েছিল তারাই চেক ও ড্রাফটের মাধ্যমে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। ফলে আমফান দুর্নীতি ইস্যুতে কয়েক কোটি টাকা সরকারের ঘরে জমা পড়েছে। কেউ আমফান দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত আছে তার উপযুক্ত প্রমাণ পেলেই আমরা কঠোর পদক্ষেপ করব। উপযুক্ত প্রমাণ পেয়ে যেমন হালিশহরের পৌর প্রশাসক অংশুমান রায়কে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

