আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২৩ আগস্ট: আবার চুরির অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি শহরে সোনাউল্লা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে৷ নিরাপত্তা কর্মীর ঘরে রাখা স্কুলের বই ও বিভিন্ন সামগ্রী দরজা ভেঙ্গে চুরির অভিযোগ উঠল। এর আগেও এই বিদ্যালয়ে চুরির অভিযোগ উঠেছিল৷ শহরে বার বার চুরির ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।
ফাঁকা বাড়ির পাশাপাশি হাই ও প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চুরির ঘটনা বাড়ছে জলপাইগুড়িতে বলে অভিযোগ। কয়েক মাস আগে শহরের শিশু নিকেতন জুনিয়র বেসিক বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম থেকে ১৫টি ফ্যান ও মিড ডে মিলের সামগ্রী চুরির অভিযোগ উঠে।
অন্যদিকে দেশবন্ধুনগর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে চুরি হয় ন’টি ফ্যান, অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র, মিড ডে মিলের রান্না করার গ্যাস সিলিন্ডার এছাড়া ওভেন। এক বিদ্যালয়ে তিনবার চুরির অভিযোগ উঠেছে। সোনাউল্লা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের জানালা ভেঙ্গে চুরির অভিযোগ উঠেছিল। ডেঙ্গুয়াঝাড় এলাকার গোমস্ত পাড়ার চন্দ্রমোহন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয়বার চুরির অভিযোগ উঠল। ২৭ জুলাই এই বিদ্যালয়ে চুরির অভিযোগ উঠেছিল। বার বার স্কুলে চুরির ঘটনায় পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শহরবাসী।
সোনাউল্লা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনির্বাণ সেন বলেন, “স্কুল বন্ধ থাকলে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। মাঝে মধ্যে চুরি হচ্ছে বিদ্যালয়ের সামগ্রী।”
শহরের বাসিন্দা তথা তৃণমূল যুব নেতা অজয় সাহা বলেন, “নেশাগ্রস্তদের সংখ্যা বাড়ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরির ঘটনা ঘটছে। রাতে যেভাবে পুলিশের টহলদারি চলছে তা যথেষ্ট নয়। পুলিশকে আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। এরকম চললে আমরাও নিরাপদ নই।” পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।