আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ২৬ মে: করোনার জেরে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। যে কোনও ধরণের জমায়েত নিষিদ্ধ। তাই সরকারি নির্দেশ মেনে মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালন করা হল মন্দিরে। পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে এই বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে পুরোহিত থেকে শুরু করে সবার মুখেই ছিল মাস্ক। এমনই ছবি ধরা পড়ল আমাদের ক্যামেরায়।
রায়গঞ্জের উকিলপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ আচার্য্যের মা সন্ধ্যা আচার্য্য গত বছর মারা যান। এক বছরের মাথায় করা হয় বার্ষিক কাজ। কিন্তু লকডাউনের কারণে আত্মীয় পরিজনরা আসতে পারবে না। এছাড়া সরকারি নির্দেশ মত জমায়েত করে কোনও অনুষ্ঠানও করা যাবে না৷ তাই রায়গঞ্জের বন্দর আদি কালি মন্দিরে মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালন করলেন ছেলেরা।

করোনায় দিনের পর দিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে সাথে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। সন্ধ্যা আচার্য্যের পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল লকডাউন উঠে যাবে। কিন্তু চর্তুথ দফার লকডাউন শুরু হয়েছে। মায়ের এই বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানকে আবেগের বশে কোরোনা-আবহে সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাস্ক পরে যাবতীয় নিয়ম পালন করে করলেন। একচুল সরকারি নির্দেশ অমান্য করেননি পরিবারের সদস্যরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক পরে মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে সম্পন্ন করা হয়।

মৃতা সন্ধ্যা আচার্য্যের ছোট ছেলে প্রলয় আচার্য্য জানিয়েছেন, কোরোনার জন্য দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। তাই আমরা মায়ের আজ বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বাড়িতে না করে মন্দিরে করছি। সমস্তটাই সরকারি নির্দেশিকা মেনেই করা হচ্ছে। শুধুমাত্র পরিবারের কয়েকজন সদস্যদের নিয়েই অনুষ্ঠানটি করা হচ্ছে। মায়ের বার্ষিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে আত্মীয় পরিজনরা আসতে পারল না লকডাউনের জন্য। মনটা খারাপ লাগলেও কিন্তু কিছু করার নেই বলে জানান প্রলয়বাবু।

অন্যদিকে বন্দর আদি কালিবাড়ির পুরোহিত মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তিন-চার দিন আগে মন্দির খোলা হয়েছে। আগে এত দিন লকডাউনের জন্য মন্দির বন্ধ ছিল। যারা মন্দিরে আসছেন তাদেরকে সবাইকে মাস্ক পরার জন্য বলা হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে পুজো দিতে দিচ্ছি না বলে জানান মৃত্যুঞ্জয়বাবু।

