রাজেন রায়, কলকাতা, ২৬ জুন: লোকসানের খতিয়ান দেখিয়ে বহু জায়গায় রাস্তায় নামছে না বাস। আবার কোথাও নিজেদের মত ভাড়া বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ঊর্ধ্বগামী পেট্রোলের দামে কার্যত নাভিশ্বাস বাসমালিকদের। তাই এবার রাজ্যের বেসরকারি বাস পরিষেবা সচল রাখতে মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ নবান্নে তিনি জানিয়ে দিলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে বেসরকারি বাস, মিনিবাসের ভাড়া বাড়ছে না। তবে সুরাহার জন্য আগামী তিন মাস বাস মালিকদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করবে রাজ্য। প্রত্যেক বাসমালিককে মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে শহরে মেট্রো পরিষেবা চালুর জন্যও রেল মন্ত্রককে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন। ১ জুলাই থেকে রাজ্যে বাস এবং মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক করতে চান তিনি। যদিও এই অার্থিক প্যাকেজেও সন্তুষ্ট হয়নি বাসমালিক সংগঠনগুলি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১ জুলাই থেকে তিন মাস ৬০০০ বাস মিনিবাস মালিকদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা করা হবে। এজন্য তিনমাসে রাজ্যের ২৭ কোটি টাকা খরচ হবে।’ কেন্দ্রের কারণেই রাজ্যকে এই অতিরিক্ত ভর্তুকি বইতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক প্যাকেজের কথা ঘোষনা করলেও বেসরকারি বাসমালিক সংগঠনগুলি এতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘোষণা শুধু কলকাতার বাস মালিকদের জন্য করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের জেলার বাসগুলো কি দোষ করল? তাছাড়া আমাদের প্রত্যেক দিন বাস চালাতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা, সুতরাং ১৫ হাজার টাকায় আমাদের কী হবে? আমাদের এখন প্রত্যেকদিন ৬ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। সেই ক্ষতিপূরণ তো রাজ্য দেবে না। তার ওপর পেট্রোল, ডিজেলের দাম টানা ২০ দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী। তিন মাস পরে ভর্তুকি তুলে নিলে আর একই পরিস্থিতি থাকলে কি হবে? আগামী রবিবার আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। তবে এই পরিস্থিতিতে বাসভাড়া না বাড়ালে আমাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।’

