রাজেন রায়, কলকাতা, ১৮ ফেব্রুয়ারি: সম্প্রতি ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেম দিবসের আগে কোনও যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে বাবা মাকে জানিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে ‘সতর্কীকরণ’ পোস্টার সেঁটেছিল বজরং দল। তবে বজরং দলের এমন ‘অদ্ভূত’ কাণ্ড-কারখানা যেমন নেটজনতার একাংশের কাছে হাসির খোরাক হয়েছে, তেমনই অনেকেই আবার চটে আগুন হয়েছেন। ‘বাংলার জমিতে পদ্ম ফোটার আগেই এত আস্ফালন?’ এই ঘটনাকে উল্লেখ করে এমন প্রশ্ন তুললেন এবার শ্রীলেখা মিত্র।
‘সোনার বাংলা গড়া’র লক্ষ্যে যেখানে দৌড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। সেখানে ‘ডানপন্থী’ বজরং-দের বাংলা বানানের এমন ‘ছিড়ি’ তথা শব্দপ্রয়োগ দেখে হাসির খোরাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে আরও মারাত্মক পোস্টারে দেওয়া ‘সতর্কিকরণ’। সেখানে ফলাও করে লেখা, ভ্যালেন্টাইনস ডে’র উৎসব ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। সুতরাং বিশ্বহিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে ওই দিন খোলা জায়গায় কোনও যুগল যেন দৃষ্টিতে না আসে। দৃষ্টিকটূ অবস্থায় না দেখা যায়। এরকম ঘটনায় তাদের বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা বা প্রয়োজনে বিবাহের ব্যবস্থা করা হবে।” এরপর আগামী নির্বাচনের পর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার আসার কথা লিখে ‘লাভ জিহাদ’ ও ‘ব্যভিচারে’র বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পোস্টারের বিভিন্ন জায়গায় আবার ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শ্রীলেখা মিত্র। যদিও তারা এ প্রস্তাব দেননি এবং তাদের বদনাম করতে পোস্টার তৃণমূল ছড়িয়েছে বলে দাবি বজরং দলের।
অভিনেত্রী সেই পোস্টার শেয়ার করে লিখেছেন, “আমি কী লিখব বুঝতে পারছি না। ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, এঁদের মানুষের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। নির্লজ্জ! একবারও লজ্জা লাগে না এই ধরনের কাজ করতে? এখনও ক্ষমতাতে আসেনি তাতেই এই? জেগে উঠুন রাজ্যবাসী। জেগে উঠুক মানুষ, এখন নয়তো আর কবে? ‘সতীদাহ’র নামে বিধবা তরুণীদের পোড়ালেও অবাক হব না।”