আমাদের ভারত, ২১ আগস্ট: তিন মাসের মধ্যে তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার কলকাতায় মেট্রো রেলের নতুন পরিষেবার উদ্বোধন করতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। আর একই সঙ্গে রাজনৈতিক সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। বঙ্গ বিজেপির কর্মী সভাতে যোগ দেবেন তিনি। তার আগে বৃহস্পতিবার টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, কলকাতায় বিজেপির কর্মী সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছি। প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। উন্নয়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ এখন আশা নিয়ে বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছে।
বাংলায় একের পর এক দুর্নীতিতে রাজ্যের শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের নাম জড়িয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আর জি কর, সাধারণ মানুষকে গর্জে উঠতে দেখা গেছে। রাজনৈতির পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সরকারি অনুষ্ঠান ও কর্মীসভা কেবলমাত্র সাংগঠনিক কর্মসূচি নয়, বরং রাজ্য বিজেপির শক্তি বাড়ানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ। উন্নয়নকে সামনে রেখে বিজেপি রাজ্যে বিকল্প সরকারের বার্তা ছড়াতে চাইছে।
প্রধানমন্ত্রী টুইটে সরাসরি ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিজেপি এখন রাজ্যের তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসন্তোষকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করতে চলেছে। তিনি লিখেছেন, “কলকাতার সমাবেশে বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে থাকতে আমি অত্যন্ত আগ্রহী। প্রতিদিন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জন অসন্তোষ বাড়ছে। আমাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির কারণে পশ্চিমবঙ্গ আশা নিয়ে বিজেপির দিকে তাকিয়ে আছে।”
আর সেই জন্য প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে কেবল পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। তাঁর বার্তায় স্পষ্ট, কেন্দ্র সরকার কলকাতার উন্নয়ন ও নাগরিকদের সুবিধার্থে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফলে মোদীর এই সফর ঘিরে রাজনৈতিক উষ্ণতা বেড়েছে। বিজেপি দাবি করেছে, এই ধরনের প্রকল্প শহরের উন্নয়নে নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে।
মোদী এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে শহরের উন্নয়নের জন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সেই কলকাতার মানুষের কাছে আসা আমার কাছে সব সময় আনন্দের।”