দাসপুরে আনন্দময়ী মায়ের কাছে কেউ নিরাশ হয় না

কুমারেশ রায়, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৫ নভেম্বর:
তিনি কখনও নিরানন্দ করেন না, তাই নাম মা আনন্দময়ী। আজ থেকে দুশ আড়াইশো বছর আগে সীতারাম ব্রহ্মচারী কাশি থেকে কষ্টিপাথরের মা আনন্দময়ী কে মাথায় করে নিয়ে এসেছিলেন এবং তিনি মা কে প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ছিলেন সাধক। তারপর থেকে মা পূজিত হয়ে আসছেন। মহাকুমার দাসপুরে অন্যতম প্রাচীন এই মা আনন্দময়ীর পুজো।

পরবর্তীকালে চক্রবর্তী পরিবার এবং উত্তরাধিকার সূত্রে ব্যানার্জি পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয় পুজো। দীপান্বিতা রাতে হয় মায়ের মহাপুজো।বমায়ের গায়ে কোন রং দেওয়া হয় না। মৌচাকের মোম দিয়ে মায়ের অঙ্গ সেবা করা হয় দশমী, একাদশী এবং দ্বাদশীতে। মায়ের পুজোর বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যেমন স্বপ্নাদেশ প্রাপ্ত ৭৫০ গ্রাম ওজনের বাঁকি তে পাঁঠা বলি হয়।

এছাড়াও কুলোর ভোগ মায়ের পুজোর এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। প্রথম বলি শুরু হওয়া থেকে আগুনে জ্যান্ত শোল মাছ নিক্ষেপ করা হয়। সেই পোড়া শোল মাছ কুলোতে ভোগের সাথে মাকে নিবেদন করা হয়। বহু মানুষ এই শোল মাছ পোড়ার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন। পুজোতে কোনও সুরা দেওয়া হয় না, কাঁসার পাত্রে ডাবের জল নিবেদন করা হয় মাকে। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তের সমাগম হয় এই পুজোতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *