আমাদের ভারত, ১ সেপ্টেম্বর: সম্প্রতি জঙ্গি যোগের অভিযোগে অসমে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একটি মাদ্রাসা। সেই পরিস্থিতিতেই রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার স্পষ্ট বার্তা, “কোনো মাদ্রাসায় দেশ বিরোধী কাজ হলে সেটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে”।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে হেমন্ত বলেন, মাদ্রাসাগুলোকে ধ্বংস করা কখনোই আমাদের উদ্দেশ্য নয়। তবে সেখানে যাতে কোনো রকম জেহাদি কার্যকলাপ না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি। আমরা যদি নির্দিষ্টভাবে তথ্য পাই যে মাদ্রাসার আড়ালে কোনো ভারত বিরোধী কার্যকলাপ হচ্ছে সে ক্ষেত্রে সেগুলিকে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার অসমের বঙ্গাইগাঁওয়ে বুলডোজারের সাহায্যে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মাদ্রাসা। ওই মাদ্রাসায় সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় এই মাদ্রাসাটি নির্মিত হবার কারণে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মাদ্রাসাটি একটি অবৈধ নির্মাণ বলেও একটি বিবৃতি জারি করেছিল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
আল-কায়দা যোগের অভিযোগে কদিন আগে ৫ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিছুদিন আগে অসমে বাংলাদেশের জঙ্গি ঢুকেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। তারপর থেকে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ সে রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। ধৃতদের মধ্যে অনেকেই মাদ্রাসার ইমাম ও শিক্ষক। তৃতীয় যে মাদ্রাসাটি ভাঙ্গা হয়েছে তার সহকারি শিক্ষককেও জঙ্গি যোগ সন্দেহে ২৬ আগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছে।
হেমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, অসম জিহাদি কার্যকলাপে কেন্দ্রস্থলে পরিণত হচ্ছে। সাম্প্রতিক কালের একাধিক ঘটনায় বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলামের যোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হবার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্দেহভাজন মনে হলেই পুলিশে খবর দিতে বলেছেন তিনি।
এখনো পর্যন্ত এই নিয়ে তিনটি মাদ্রাসা ভাঙ্গা হল। এর আগে মণিকা ও গোয়ালপাড়ায় দুটি মাদ্রাসা ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

