রাজেন রায়, কলকাতা, ৮ ফেব্রুয়ারি: স্কুল খোলার পর পড়ুয়ারা যাতে একে অপরের সংস্পর্শে না আসে, তার জন্য সব রকম ভাবে নিয়মের বেড়া জাল তৈরি করছে স্কুল শিক্ষা দফতর। করোনার প্রকোপ কমলেও এখনো সর্বত্র ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। কিন্তু বছর খানেক এর ও বেশি সময় ধরে স্কুল বন্ধ থাকলে এরপরে পড়ুয়াদের শিক্ষাবর্ষের ক্ষতি হবে বলে বুঝতে পারছে রাজ্য সরকার। সেই কারণে একাধিক নিয়ম জারি করে পড়ুয়াদের একে অপরের সংস্পর্শে আসতে আটকাতে চাইছে রাজ্য, যাতে সংক্রমণ এড়ানো যায়।
সবদিক খতিয়ে দেখে শুক্রবার থেকে স্কুল চালু হচ্ছে রাজ্যে। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, অভিভাবক ও পড়ুয়াদের জন্য কড়া গাইডলাইন জারি করেছে রাজ্য সরকার। ৫২ পাতার সেই গাইডলাইন জেলাশাসকদের মাধ্যমে প্রত্যেক স্কুলে পৌঁছেছে। কোভিড সতর্কতায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য সরকারি নির্দেশ– মাদুলি, তাবিচ, কবজ পরে স্কুলে আসার দরকার নেই। বাড়িতেই ওগুলি খুলে আসতে হবে। পাশাপাশি সোনা বা যেকোনও ধাতব অলঙ্কারের উপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পড়ুয়াদের আংটি, চেন এবং চুড়ি পরেও স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিজের টিফিন নিজেই খেতে বলা হয়েছে।
স্কুল খোলার গাইডলাইনে স্কুলের সবাইকে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার কথা বলা আছে। জলের ট্যাঙ্ক সাফ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে প্রত্যেক স্কুলে একটি করে ‘আইসোলেশন’ ঘর রাখতে হবে। কোনও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী বা পড়ুয়া হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে সেই ঘরে বিশ্রাম নেবে। প্রয়োজনে তাঁদের হাসপাতালে পাঠাতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের সবাইকে মাস্ক পরে স্কুলে আসতে বলা হয়েছে। সবাই নিজস্ব জলের বোতল আনবে। যত্রতত্র থুথু ফেলা যাবে না। মাঠে খেলাধুলোর দরকার নেই। কেউ যেন পরস্পরের মধ্যে মারপিট না করে।

