নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: দলের ভবিষ্যত কর্মপন্থা ঠিক করতে রাজ্যের সাংসদের নিয়ে বৈঠক কেন্দ্রীয় সহ সংগঠন সম্পাদক শিবপ্রকাশ। বৈঠকে রাজ্যের সাংসদরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও জাতীয় পরিষদের সদস্য মুকুল রায়।
সামনে পুরভোট। ২০২১ এর আগে সেমিফাইনাল ম্যাচে সাংসদরা তাদের নিজের এলাকায় পুরভোটের জন্য কতটা তৈরি তা নিয়ে আলোচনা হয়। প্রত্যেক সাংসদকে নিজের এলাকার পুরসভায় ভালো ফল করার জন্য এখন থেকেই পরিকল্পনা করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও সাংগঠনিক স্তরে মন্ডল কমিটি, জেলা কমিটি ঘোষনা হবার পরেই পুরনির্বাচন নিয়ে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে। সাংসদের এলাকায় আরও বেশি করে সময় দিতে বলা হয়েছে বৈঠকে।
স্থানীয় স্তরে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য সাংসদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাংসদরা যাতে তাদের নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা এলাকার উন্নয়নের জন্য সঠিক সময়ে খরচ করতে পারেন সেইকথাও বৈঠকে বলা হয়েছে। তবে এপ্রসঙ্গে কয়েকজন সাংসদ কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে রাজ্যের আমলাদের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়েছেন। আমলারাই রাজ্য সরকারের নির্দেশে সাংসদ তহবিলের টাকা খরচে বাঁধা হয়ে উঠতে পারেন। উদাহরন হিসেবে আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র কথা উঠে এসেছে। গতবার সাংসদ তহবিলের টাকা খরচ করতে গিয়ে কীভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।
বৈঠকে সবকিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে এনআরসি নিয়ে। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল সহ বিরোধীদের আক্রমনকে সামলাতে রনকৌশল ঠিক হয়েছে। সূত্রের খবর, বিজেপিও এনআরসির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে এবার পাল্টা প্রচার শুরু করবে রাজ্যে। পাশাপাশি এনআরসির সমর্থনকারি গণসংগঠনগুলিকে প্রচারে সবরকম সহযোগিতা করার মতো কৌশল নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।