“পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ন্যায় সঙ্গত” ফের জল্পনা উস্কে দিলেন অমিত শাহ

আমাদের ভারত, ১৮ অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গের রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনাকে আবার একবার উস্কে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজ্যের বিজেপি নেতাদের রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি ন্যায়সঙ্গত।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। তাই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করলে ভুল হবে না। বিজেপি নেতা-কর্মীদের খুন সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি তুলছেন রাজ্যের পদ্ম নেতারা। কিন্তু এই দাবি আসলে কতটা সংগত? প্রশ্নের উত্তরে শাহ বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দল দাবি করতেই পারে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি শাসন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা দাবি মেনে হয় না। ভারতের সংবিধান মেনেই একমাত্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়। কোথাও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে গেলে আগে রাজ্যপালের রিপোর্ট দেখতে হবে। তবে অমিত শাহ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি শাসনের মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি বাংলায় রয়েছে।

রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, বাংলার প্রতিটি জেলায় শুধু রয়েছে বোমা তৈরীর কারখানা। গোটা রাজ্যের পরিস্থিতি সাংঘাতিক খারাপ। তবু লড়াই করা থেকে পিছিয়ে যাবো না আমরা। ভোটে জয়ী হবোই।

তাঁর কথায় বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বিপর্যস্ত। আমফান ঝড়ের পর অনুদান নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো আনাজ পৌঁছায়নি দুর্গতদের হাতে। করোনার জন্য যে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা উচিত ছিল তা করা হয়নি। দুর্নীতির চরম শিখরে পৌঁছেছে বাংলা। আইনের শাসন নেই, বাড়ছে অনুপ্রবেশ। পরিস্থিতি খুব খারাপ। বিরোধীদের হত্যা ও তাদের নামে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে। ভারতের আর কোনো রাজ্যে এমনটা নেই।”

বাংলায় বিজেপির মুখ নেই তাহলে কি ভাবে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি? কথার ইঙ্গিতে শাহ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মোদীকে মুখ করেই বিজেপি লড়বে। তার কথায়, “বাংলায় পরিবর্তন হবেই। মোদীর নেতৃত্বে রাজ্যে বদল আসবে। নিশ্চিত ভাবে মুখ থাকবে, তবে এখন তৃণমূলকে সরানোই অগ্রাধিকার।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *