আমাদের ভারত, ১৪ ফেব্রুয়ারি: জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ হয়েছে। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদাও নেই এখন। এ বিষয়ে লোকসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ঠিক সময় জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
শাহ বলেন, “যখন কাশ্মীরকে বিভক্ত করা হয়েছিল তখন কোথাও লেখা ছিল না যেকাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে না। সঠিক সময় আলাদা রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমি বিলে এনেছি। এই বিল পেশ করেছি। কি জন্য এই সংশোধনী বিল আনা হয়েছে তা আপনাদের ব্যাখ্যা করে বলেছি। আপনারা ভুয়া খবর ছড়ানো বন্ধ করুন। অতীতে কি কোন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়নি? অতীতে কি কখনো কোন সীমান্তবর্তী অঞ্চলকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়নি? তাহলে জম্মু-কাশ্মীর এসবের থেকে আলাদা হবে কি করে?”
জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ করা নিয়ে বিতর্ক ছিল তুঙ্গে। তারপর রাজ্যের মর্যাদা সরিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে জম্মু কাশ্মীর লাদাখ আত্মপ্রকাশ করে। কেন্দ্র সরকারের এই পদক্ষেপে বরাবরই বিরোধিতা করেছে ওমর আব্দুল্লাহ মেহেবুবা মুফতিরা। একসময় কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ যাঁর রাজ্যসভার সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও কেঁদে ফেলেছেন সেই গুলাম নবি আজাদও কিন্তু কেন্দ্র সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন।
এদিন আবারো জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া ও ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সরকারের কাছে জানতে চান রাজ্য ভাগ ও ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীরে কি উন্নতি হয়েছে? পাল্টা জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাজ্য বিভক্ত হয়েছে মাত্র ১৭ মাস। এরই মধ্যে এত প্রশ্নের মানে কি? প্রশ্ন তো তাদের করা উচিত যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কাশ্মীরের শাসনভার সামলেছেন। গত ৭০ বছরে কি উন্নতি হয়েছে? আমি কাশ্মীরের উন্নতির খতিয়ান দিতে দায়বদ্ধ।কিন্তু যারা প্রশ্ন তুলেছেন তারা নিজেদের একবার প্রশ্ন করে দেখতে পারেন। তাহলে পাল্টা প্রশ্নের গ্রহণযোগ্যতা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কেরলের সংসদ এমপি প্রেমচন্দ্রন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতি ও সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর দাবি তোলেন। এবিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে কাশ্মীর ইস্যুতে আর রাজনীতি না করার অনুরোধ করেন অমিত শাহ।