আমাদের ভারত, ২০ ডিসেম্বর: সামনেই বিধানসভা ভোট আর এই ভোট প্রচারে অন্যতম ইস্যু নাগরিকত্ব আইন। রাজ্যের বিজেপি নেতারা এনিয়ে প্রচারের সুর তুললেও আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল অন্য সুর। তিনি আজ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন আগে করোনার টিকাকরন হবে তারপর সি এ এ। অর্থাৎ আপাতত সিএএ ইস্যূকে হিমঘরে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বোলপুরের সাংবাদিক সম্মেলনে, অমিত সাহা বলেন, আপাতত সিএএ কর্মসূচি কার্যকর হচ্ছে না। আগে টিকাকরণ শুরু হোক, করোনার শৃঙ্খল ভাঙুক, তারপর এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা যাবে।
সংসদে নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর দেশের অন্যান্য রাজ্যের মত বাংলাতেও ব্যাপক বিরোধিতা দেখা গিয়েছিল। ট্রেনে আগুন, বিক্ষোভ, অবরোধ থেকে শুরু করে সিএএ বিরোধিতায় মিছিল কিছুই বাদ যায়নি। একাধিক মিছিল সংঘটিত করেছিল রাজ্যের শাসক দলতৃ ণমূল কংগ্রেসও। কিন্তু করোনার মতো অতিমারী পরিস্থিতি চলে আসায় সিএএ কার্যকরের বিষয়টি পিছিয়ে যায়।
এরমধ্যে সময় অনেকটাই পেরিয়েছে। আর মাত্র হাতে গোনা কয়েক মাসের মধ্যেই বিধানসভা ভোট। রাজ্যে এই পরিস্থিতিতে বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশি শরণার্থী মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা নাগরিকত্ব পাবেন, তেমন প্রচারে আশ্বাস দিয়েছিলেন দলের রাজ্যের নেতারা। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বারাসাতে বলেছেন, “মোদী সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটা অবশ্যই পালন করবে। রাজ্য সরকার বিরোধিতা করলেও নাগরিকত্ব দেওয়া থেকে আটকাতে পারবেনা। জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ার কাজ শুরু হবে। তৃণমূল শুধুমাত্র ৩০% মানুষকে নিয়ে ভাবলেও বাকি ৭০ শতাংশের দিকে তাকাচ্ছে না।”
কিন্তু দুদিনে রাজ্য সফরে এসে বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে এই রাজ্যের সিএএ ইস্যূ আপাতত স্থগিত পবলেই জানিয়ে দিলেন শাহ। একরকম সিএএ ইস্যূ হিমঘরে চলে গেল এখন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ২০০টি আসন টার্গেট করেছে বিজেপি। তাই এই পরিস্থিতিতে সিএএ নিয়ে আর নতুন করে কোনো রকম অশান্তির পরিবেশ সম্ভবত তৈরি করতে চাইছেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই জন্যই সিএএ কর্মসূচিকে আপাতত স্থগিত খাতায় পাঠিয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলে গেলেন, আগে করোনার টিকাকরন তারপর সিএএ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে।