করোনা টিকাকরণের পরেই নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু, ঠাকুরঘরে মতুয়া জনসভায় বললেন অমিত শাহ

আমাদের ভারত, ১১ ফেব্রুয়ারি: করোনার কারণেই সিএএ লাগু করতে দেরি হয়েছে। করোনা টিকাকরণের পরেই দেশ জুড়ে নাগরিকত্ব প্রদানের কাজ শুরু হয়ে যাবে। দেশ করোনামুক্ত হলেই মতুয়াদের নাগরিকত্বের দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। মতুয়াদের উদ্দ্যশ্যে বিজেপির দেওয়া প্রতিশ্রুতি কার্যকর হবেই বলে ঠাকুর নগরের সভা থেকে ঘোষণা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবেই বিজেপি সরকার। করোনার কারণেই সিএএ কার্যকরে দেরি হয়েছে। করোনার টিকা করণের কাজ শেষ হলে ও দেশ করোনামুক্ত হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যশ্যে তির্যক সুরে বলেন, এরপর আর সিএএ-র বিরোধীতা করতে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ আর দু’মাস পর তিনি ক্ষমতাতেই থাকবেন না।

প্রত্যাশা মতোই সিএএ নিয়ে যেমন আশ্বাস দিয়েছেন, তেমনি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে মতুয়াদের জন্য বেশকিছু কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। অমিত শাহ বলেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে ঠাকুরনগর স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে হবে শ্রীধাম ঠাকুরনগর রেল স্টেশন। বয়স্ক দলপতিদের জন্য চালু হবে পেনশন, শরনার্থী কল্যাণ প্রকল্প চালু করা হবে। এছাড়াও মোদী সরকারের যে সব প্রকল্প রাজ্যে চালু নেই তাও সব চালু করা হবে।

কোচবিহারের পর বনগাঁয় মতুয়াদের জনসভায় এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,”দ্বিতীয়বার ঠাকুরনগরের পবিত্র ভূমিতে এসেছি। যতদিন না পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে হারছেন ততদিন পর্যন্ত আমি ঠাকুরনগর বারবার আসবো।” তিনি বলেন, শান্তনু ঠাকুরকে তিনি কথা দিয়েছিলেন সিএএ এই নিয়ে যেসব বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে তার জবাব দিতে তিনি আসবেন। তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করে বলেন, সিএএ কখনও কারো নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। সিএএ শুধুমাত্র নাগরিকত্ব দেবে।

তিনি বলেন, বামেদের আমল থেকে বাংলায় হিংসা শুরু হয়েছে, তাকে ঠেকাতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তা রুখে দেবে। তার কথায় ঠাকুরনগর সামাজিক আন্দোলনের পীঠভূমি। যে রাস্তায় হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুর চলেছেন সেই পথেই এগোচ্ছেন মোদী। নরেন্দ্র মোদীর জন্যেই পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটা গরিবের বাড়িতে বিদ্যুৎ-গ্যাস এবং শৌচালয় পানীয় জল পৌঁছেছে। দেশের মানুষকে সরকারি স্বাস্থ্যপরিসেবার আওতায় আনতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হলেও মমতা সরকারের কারণে তা থেকে বঞ্চিত এরাজ্যের মানুষ। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন ক্ষমতায় এলে দলিত, আদিবাসী, মতুয়াদের যথাযোগ্য সম্মান দেবে বিজেপি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান প্রকল্পের বাকি থাকা ১৮ হাজার টাকা রাজ্যের কৃষকদের দেওয়া হবে। এবারের বাজেটে বাংলাকে উজাড় করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। মোট ৭৪ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন খাতে বাংলার জন্য বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার।

শাহ বলেন, “কেন্দ্রের তরফে মোদীজি যে সাহায্য পাঠাচ্ছেন তাকে কাজে লাগানোর মতো সরকার এখানে নেই। তাই এখানে এমন একটি সরকার চাই যে মোদীজিরর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবে। ফলে এখানে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার এলে বাংলাকে পাঁচ বছরে সোনার বাংলা তৈরি করে দেবো”।

অমিত শাহ বলেন ২০২০-তেই সিএএ নিয়ে এসেছি। আমরা যা বলি তাই করি। ভ্যাক্সিনেশন শেষ হলেই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে। ৭০ বছর ধরে যে নমোশূদ্র, মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাননি, এবার তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *