আমাদের ভারত,২১ জানুয়ারি: যতই প্রতিবাদ হোক, সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না। সিএএ থাকবে। লখনৌর এক জনসভা থেকে ফের হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। একইসঙ্গে মমতা মায়াবতী অখিলেশ দের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচারের অভিযোগ তোলে সামনা সামনি সিএএ নিয়ে বিতর্কে বসার আহ্বান জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবাদে মদতের অভিযোগে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল লখনৌতে। ব্যাপক হারে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের উত্তাল হয়েছিল শহর। উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশে এই আন্দোলনে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। দিল্লির শাহিনবাগের মত লখনৌ ঘন্টা ঘরের কাছে এখনো চলছে অবস্থান-বিক্ষোভ। এবার সেই লখনৌতে দাড়িয়ে অমিত শাহের হুশিয়ারি, যে যত প্রতিবাদী করুন সিএএ প্রত্যাহার করা হবে না।
তিনি বলেন,”আমরা বিরোধীদের ভয় পাই না। আইন থাকবেই।”বিরোধীদের কটাক্ষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা বুঝতে পারছেন না কারণ তাদের চোখে ভোট রাজনীতির চশমা পড়া আছে।”এরপরই অমিত শাহ কংগ্রেস সহ উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী, অখিলেশ যাদব এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, “নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আপনাদের দেশের যে কোন প্রান্তে বিতর্কের আহ্বান জানাচ্ছি। আমি হলফ করে বলতে পারি আপনারা এমন কোন ধারা দেখাতে পারবেন না যাতে বলা হয়েছে কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে”।
কংগ্রেস তথা মনমোহন সিং এর উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন,”মনমোহন সিং মৌনীবাবার জামানায়, আলিয়া, মালিয়া,জামালিয়ারা পাকিস্তান থেকে এসে বোমা বিস্ফোরণ করে যেত।কিন্তু ওরা একটাও কথা বলতেন না।” বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,” ক্ষমতা থাকলে জনসমক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কে বসুন।”
এদিনের বক্তৃতাতে তিনি দিল্লির জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, জেএনইউতে কিছু ছেলে-মেয়ে ভারতকে টুকরো করা স্লোগান দিচ্ছে। ভারত মাতার অপমান হলে তাদের জেলে ঢোকানো উচিত কিনা? ভারত মাতার অপমান বরদাস্ত করা হবে না।