মমতা সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গেছে, ২/৩ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি: দাবি শাহের

আমাদের ভারত, ৫ নভেম্বর: মমতা সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গেছে, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। বাঁকুড়ায় পা দিয়েই আত্মবিশ্বাসী গলায় এই ঘোষণাই করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্য সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, এই রাজ্যের প্রান্তিক মানুষদের মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে মমতা সরকার যেভাবে বঞ্চিত করেছে, তাতে মানুষ ক্ষুব্দ। রাজ্যের মানুষের দারিদ্রতা দূর করে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের মানুষ মুখ ফিরিয়েছে তৃণমূলের দিক থেকে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ আকাশপথে বাঁকুড়ায় পৌছান অমিত শাহ। সেখানে প্রথমে বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। তিনি বলেন বিরসা মুন্ডাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলা সফর শুরু করলাম। বাঁকুড়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন “মমতা সরকারের মৃত্যু ঘন্টা বেজে গিয়েছে। এবার বিজেপি এখানে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে।

তার অভিযোগ মমতা সরকারের কারণেই রাজ্যে প্রান্তিক মানুষেরা কেন্দ্র সরকারের একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। বাংলায় নিশ্চিত ভাবে বিজেপি সরকার গঠিত হতে চলেছে বলে দাবি করেন তিনি। তার কথায় বিজেপি কর্মীদের ওপর যেভাবে হামলা হচ্ছে তাতে আমরা নিশ্চিত যে বাংলায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পরবর্তী সরকার গড়বে বিজেপি। একই সঙ্গে সীমান্ত রাজ্য হওয়ায় দেশের নিরাপত্তা বাংলা নিরাপত্তার সঙ্গে গভীর ভাবে সম্পৃক্ত বলেও মনে করিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন পরিবর্তনের আশা জ্বলজ্বল করছে এখানকার মানুষের চোখে। আর এই পরিবর্তন নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বেই সম্ভব।

এদিন তিনি বিজেপির হাওড়া,হুগলী, মেদিনীপুর ও রাঢ় বঙ্গ বিভাগের কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। বলা যায় একুশের নির্বাচনের পরিকল্পনা, প্রচারের রূপরেখা তৈরি করে দেন শাহ। বলা ভালো বিজেপির কর্মী বাহিনী কোন কোন ইস্যুর হাতিয়ার নিয়ে ময়দানে নামবেন তা দিয়ে রণোসজ্জায় সজ্জিত করে দিয়ে গেলেন অমিত শাহ।

কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প রাজ্যে তৃণমূল সরকার চালু করতে দেয়নি। এই বিষয়টি নির্বাচনে বিজেপির অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে তা শাহের কথায় স্পষ্ট। বিজেপির ভোট প্রচারের অন্যতম এজেন্ডা তৃণমূল সরকার রাজ্যের গরীব মানুষকে কিভাবে সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *