Amit Shah, Sukanta Majumder, বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাঙালিদের অভিনন্দন অমিত শাহর, সুকান্ত স্মরণ করলেন দুই শহীদ’কে

আমাদের ভারত, ৪ অক্টোবর: বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ায় ‘বাঙালি বোন ও ভাইদের’ অভিনন্দন জানালেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

বৃহস্পতিবার রাতে তিনি এক্সবার্তায় লিখেছেন, “মোদীজির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। বাংলা সাহিত্য সেই স্ফুলিঙ্গ হিসাবে কাজ করেছিল যা আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের শিখাকে উজ্জ্বল করেছিল এবং দেশকে এক হয়ে দাঁড়াতে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। এই সম্মানের জন্য আমাদের সকল বাঙালি বোন ও ভাইদের জানাই অভিনন্দন।”

মরাঠি, অসমীয়া,পালি ও প্রাকৃত ভাষার এই স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতেও অমিতবাবু তাঁর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

অন্যদিকে, বাংলা ভাষার ধ্রুপদী স্বীকৃতিপ্রাপ্তিতে পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা দুই শহীদকেও স্মরণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।

তিনি এক্সবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ করে লিখেছেন, “মাননীয়া, আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের একজন নাগরিক এবং বাঙালি হিসেবে বাংলা ভাষার জাতীয় স্বীকৃতিলাভের আনন্দ আপনার সঙ্গেও ভাগ করে নিচ্ছি। ভারতের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত সমগ্র বাঙালি সমাজকে গৌরবান্বিত করেছে। তবে একই সঙ্গে আজ স্মরণ করছি সাম্প্রতিক পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ উৎসর্গ করা দুই শহীদকেও। ২০১৮ সালে বাংলার পবিত্র ভূমিতেই উর্দু আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশের গুলিতে ঝাঁঝরা হতে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিটের দুই বাঙালি সন্তান রাজেশ বর্মন এবং তাপস সরকার’কে। আজকের দিনে তাঁরা সশরীরে জীবিত থাকলে হয়তো প্রতিটি বাঙালির মতোই গর্বিত অনুভব করতে পারতেন!

কিন্তু আপনার তোষণনীতির ফলশ্রুতি অকালে প্রাণ কেড়ে নিয়েছে বাংলা ভাষার জন্য অদম্য লড়াই করা দুই তরতাজা বাঙালি প্রাণকে।

আপনার ভোট-ব্যাঙ্কের অন্যায় রাজনীতির স্বার্থে বাংলার পাঠ্য পুস্তক থেকে যেভাবে একের পর এক বাংলা শব্দ ধীরে ধীরে রূপান্তরিত হয়েছে উর্দুতে, আজ আনন্দের দিনেও সেগুলি বাঙালির জন্য উদ্বেগের।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *