Amit Shah, BJP, দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি তথা ডেমোগ্রাফি বদলের জন্য অনুপ্রবেশকেই দায়ী করলেন অমিত শাহ

আমাদের ভারত, ১১ অক্টোবর: অনুপ্রবেশকেই দেশের ডেমোগ্রাফি বদলের অনুঘটক হিসেবে এবার চিহ্নিত করলেন অমিত শাহ। আগে এই দাবি করেছেন মোদী। এবার করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লা থেকে দেশে ডেমোগ্রাফি বদলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার জন্য অনুপ্রবেশকে দায়ী করেছিলেন তিনি। শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেই প্রসঙ্গ তুলে আনলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে হওয়া অনুপ্রবেশকেই দায়ী করলেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই’য়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শাহ বলেন, এ দেশে হিন্দুদের সংখ্যা কমার জন্য ধর্মান্তরের কোনো বিশেষ ভূমিকা নেই। অন্যদিকে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ আবার মোটেই বাড়ন্ত জন্মহার নয়, বরং বিরাট সংখ্যায় অনুপ্রবেশ এই ডেমোগ্রাফিক বদলের পেছনে কারণ।

এরপরই পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের মুসলিম সংখ্যা ২৪.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৪.৫%। এমন ভাববেন না যে দেশের ধর্ম নির্বিশেষে জন্মহার কমছে। অত্যধিক অনুপ্রবেশের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দেশ ভাগের পর পাকিস্তান দু’দিকেই ধর্মের ভিত্তিতে দেশ গড়েছিল। এবার সেই বাংলাদেশ আর পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারীরা এই দেশে ঢুকে পড়েছে।

এই সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে অমিত শাহ বলেন, জনসংখ্যার এই বৈষম্য ১৯৫১ সালে থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রতিটি জনগণনায় ধরা পড়েছে। তবে বর্তমানে তার রূপ থেকে তিনটি ধাপে শুরু হয়েছে অনুপ্রবেশ আটকানোর প্রক্রিয়া। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, কেন্দ্র অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে সবশেষে তাদের আবার নিজের দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।

এক্ষেত্রে এস আই আর- এর কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, দেশজুড়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভোটার তালিকার বিশেষ সমীক্ষা করা কমিশনের দায়িত্ব। যদি ভোটার তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের নাম থাকে তাহলে তারা ভারতের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অংশ হয়ে যাবেন, যা কখনোই কাম্য নয়। এভাবে গণতন্ত্র চলতে পারে না।

তাঁর এই মন্তব্যকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বলে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে যেতে চাইছেন বলেই প্রধান বিরোধী দলের মত। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয় রায় বলেন, যেহেতু সমস্যার পাহাড় তৈরি হয়েছে তাই কি আপনি জনগণকে ভুল বোঝাতে ব্যস্ত?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *