আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৪ সেপ্টেম্বর: রেফার করার পরেও মিলল না এম্বুলেন্স। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালেই মৃত্যু হল রোগীর। মৃত্যুর একঘন্টা পরে হাজির হল অ্যাম্বুলেন্স। স্বাস্থ্যপরিসেবা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের একের পর এক বেহাল দশার ছবি উঠে আসছে প্রকাশ্যে। বৃহস্পতিবার রাতে হাবরা নতুনহাট বাজার এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বিবি (৫৫)কে নিয়ে পরিবারের লোকজন রাত একটা নাগাদ হাবরা হাসপাতলে আসে। রোগীর শরীরের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট থাকায় ডাক্তারবাবু সন্দেহ হওয়ায় সাথে সাথে র্যাপিড টেস্ট করা হয় রোগীর এবং রিপোর্ট পজেটিভ আসে। সাথে সাথে রোগীকে রেফার করা হয় অন্য হাসপাতালের তরফে। পরিবারের লোকজন স্বাস্থ্য দপ্তরের কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কয়েক ঘন্টা কেটে গেলেও এম্বুলেন্স আসে না। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে ওই মাঝ বয়সী মহিলার। ফের অ্যাম্বুলেন্সের কন্ট্রোল নম্বরে ফোন করা হয়।
রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই মাঝ বয়সী মহিলার মৃত্যু হয় এবং অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছায় ভোর চারটের পরে।
ছেলের অভিযোগ, সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স পেলে হয়ত তার মাকে বাঁচানো যেত। স্বাস্থ্য দপ্তরের চরম গাফিলতির জন্য তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে এমনটাই দাবি করলেন ছেলে।

রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ মৃত্যু হলেও দুপুর বারোটা পর্যন্ত হাসপাতালের বাইরে পড়ে রইল করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ।
এই নিয়ে আমরা হাসপাতাল সুপার শঙ্করলাল ঘোষের সাথে কথা বলেছিলাম তিনি জানান, রোগীর সিরিয়াস অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। সাথে সাথে করোনা টেস্ট করা হয় রিপোর্ট পজেটিভ আসে এবং ডাক্তার রেফার করে দেয়। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জন্য তিনি আবেদন করেন জ্বর, শ্বাসকষ্ট থাকলেও কেউ যাতে বাড়িতে না বসে থাকে। সাথে সাথে স্থানীয় হাসপাতালে চলে আসেন। এই মহিলার ৫ দিন যাবৎ জ্বর থাকা সত্ত্বেও কোনো ডাক্তার দেখাননি। পাশাপাশি হাসপাতাল সুপার জানান করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য কন্ট্রোল রুমের ফোন করে এম্বুলেন্স আনতে হয় সেই ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কিছু করার নেই। তবে হাবরা হাসপাতালে যে পরিমাণ রোগীর চাপ স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে হাবরা হাসপাতালে এই ধরনের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু রাখলে হয়তো ভালো হতো।

