আমাদের ভারত, ৬ অক্টোবর: শুরু হয়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। গোটা রাজ্য সেজে উঠেছে রঙিন আলোয়। কলকাতা থেকে রাজ্যের জেলাগুলি পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছে। কিন্তু এতো আনন্দ ও আলোর মাঝে অন্ধকার নেমে এসেছে আর জি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন হওয়া নির্যাতিতার ঘোলা অম্বিকা পল্লীর বাড়িতে।
গত তিন বছর ধরে নিজের বাড়িতে দুর্গা পুজোর আয়োজন করেন নির্যাতিতা ডাক্তার তরুণী। কিন্তু এবারে নির্যাতিতা তিলোত্তমার বাড়িতে পুজো নেই, আনন্দও নেই। তাই পুজোর কটা দিন- ষষ্ঠী থেকে চার দিন পরিবারের সদস্যরা বাড়ির পাশেই অস্থায়ী মঞ্চ করে সেখানেই সময় কাটাবেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পরিবার মঞ্চ’। পুজোর ‘কটা দিন সকালে সম্ভব না হলেও বিকেলবেলা থেকে তারা মঞ্চে হাজির থাকবেন। তবে সেই মঞ্চে থাকবে না কোনো রাজনৈতিক রং বা স্লোগান।
ইতিমধ্যেই সেই মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে নির্যাতিতার বাড়ির সামনে। ১৬/৮ মঞ্চে আসার জন্য কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি পরিবারের তরফে, তবে কোনো রাজনৈতিক নেতা আসতে চাইলে সবাইকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিলোত্তমার বাবা-মা।
এদিন নির্যাতিতার বাবা- মা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যে ঘটে যাওয়া একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, রাজ্যে সরকার রাজ্যে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা গুলিতে মোটেও মানবিক নন। কোনো মানবিকতা দেখা যাচ্ছে না সরকারের মধ্যে। আমার মেয়ের ওই ঘটনার পরও পুলিশের কোনো হেলদোল নেই, তাই এই নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু রাজ্যকে ভালোভাবে চালানোর দায়িত্ব পুলিশের, কিন্তু তারা সেটা করতে পারছেন না। কোনো নিরাপত্তা নেই মহিলাদের।”