আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৩ নভেম্বর: গত কয়েক মাস ধরে করোনা সংক্রমণের রাশ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যার ফলে দুর্গা পুজো থেকে কালী পুজো এমনকি ছট পুজোতেও আনন্দে সামিল হয়েছিল উৎসব প্রিয় মানুষ। আর এবার জগদ্ধাত্রী পুজো। ষষ্ঠী থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হলেও বেশিরভাগ জায়াগাতেই নবমীতে পুজো হয়। আর সেই কারণে বছরের এই দিনটাতে মানুষ আনন্দে মেতে ওঠে।
জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই সবার আগে হুগলীর চনন্দনগরের নাম সকলের মুখে আসে। যদিও মন্ডপসজ্জা থেকে প্রতিমা এমনকি অভিনব আলোকসজ্জা হাওড়া জেলার বাউড়িয়া লোকমুখে মিনি চনন্দনগর হিসেবে পরিচিত হয়েছিল। যদিও করোনার কারণে গত বছর থেকে এই মিনি চনন্দনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জৌলুস হারিয়েছে।এই বছরেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। প্রায় প্রতিটি পুজো কমিটি তাদের বাজেট কমানোয় মন্ডপ থেকে আলোকসজ্জা জৌলুস হারিয়েছে। যদিও জগদ্ধাত্রী পুজো এই এলাকার অন্যতম পুজো সেই কারণে জৌলুস কমলেও উন্মাদনা একটুকু কমেনি। আর সেই কারণে শনিবার সকাল থেকে রাত প্রতিটি পুজো মন্ডপে মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাউড়িয়ার অধিকাংশ পুজো কমিটির মতে করোনা মানুষের কাজ কেড়েছে, মানুষকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সেই কারণেই পুজোর বাজেট কমাতে হয়েছে।
অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ষষ্ঠী থেকে হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জগদ্ধাত্রী পূজা শুরু হয়েছে। শনিবার নবমীর বিশেষ পুজোর পাশাপাশি কুমারী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। এদিন উলুবেড়িয়া কালীবাড়িতে নবমীর বিশেষ পুজোর পাশাপাশি মায়ের ভোগ বিতরণ করা হয়। উলুবেড়িয়া কালীবাড়ির পাশাপাশি ধূলাসিমলা টিম অফ স্পোটস, বাগনান এনডি ব্লকের যুবক সংঘের পুজো মন্ডপেও নবমীর বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়।