আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ১১ ফেব্রুয়ারি: সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বভারতীকে আইনজীবীর মাধ্যমে অমর্ত্য সেন কড়া চিঠি পাঠালো। বিশ্বভারতীর তৃতীয় চিঠির জবাব দিলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। পাশাপাশি, অমর্ত্য সেন জানান, কোনো মিউটেশনের জন্য আবেদন করেননি তিনি। এদিন তিনি জানান শান্তিনিকেতনে তাঁর জন্ম। এক দশমিক আটত্রিশ একরের উপর পিতৃপুরুষ আমল থেকে ভোগদখলে আছেন তিনি। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে তার প্রামাণ্য নথি তাঁর কাছে আছে। তবুও বার বার চিঠির প্রত্যাঘাত তার কাছে পাঠানো হচ্ছে। এব্যাপারে এবার আইনী চিঠি পাঠিয়ে কড়া জবাব দিয়ে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন নোবেলজয়ী।
শনিবার বিকেলে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন এবং তাঁর আইনজীবী গোপাল চক্রবর্তী প্রেস বিজ্ঞপ্তি পড়ে শোনান।
অমর্ত্য সেন বলেন, বিশ্বভারতীর কর্মকর্তারা মাপজোকের জন্য তাঁদের ‘সুবিধামত দুটি দিন’ চাইছেন। তা হতেই পারে। যে প্রশ্নটি বাকি থাকে সেটি মাপজোক উদ্দেশিত প্রশ্ন নয়। বিশ্বভারতীর কর্মকর্তারা বলছেন, যে তেরো ডেসিমেলের জমি আমি বাল্যকাল থেকে ব্যবহার করছি, সেই জমির উপর আমার কোনো অধিকার নেই। সেটি নাকি বিশ্বভারতীর কর্মকর্তাদের নিজস্ব। প্রশ্নটি তাই এই নয় যে, তেরো ডেসিমেল জমি, তেরো ডেসিমেলই থাকবে। কী কারণে লোকে অঙ্ক করে বিশ্বভারতীর কর্মকর্তাদের তা জানার প্রয়োজন হয়তো আছে। এটি পরিস্কার হলে বিশ্বভারতীতে কাজ কর্মের প্রয়োজন হয়তো একটু হ্রাস পেত। এবং বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের অকারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাসিত হওয়ার ভয় হয়তো কিছুটা কমতো।” পাশাপাশি, অমর্ত্য সেন আইনজীবী মারফৎ একটি চিঠি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে পাঠিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে এমন চিঠি যেন আর তাঁর মক্কেলকে না পাঠানো হয়। পাঠালে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইনজীবী বলেন, গোটা বিশ্বে সম্মানিত নোবেলজয়ী ও ভারত রত্ন একজন অশীতিপর মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি সাধনে হতে পারে এমন চিঠি বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ পদাধিকারীর কাছ থেকে এসেছে। এছাড়াও এদিন ছাত্র এবং শিক্ষকদের বিশ্বভারতী থেকে উৎখাত করার চেষ্টা নিয়ে মুখর হন অমর্ত্য সেন।

