আশিস মণ্ডল, সিউড়ি, ৩১ জানুয়ারি: জমি বিবাদ মামলায় জয়লাভ করলেন নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন। সিউড়ি জেলা আদালত পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে ‘প্রতীচী’ থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আদালতের রায়ে খুশি শান্তিনিকেতনের মানুষ।
অধ্যাপক অমর্ত্য সেন অতিরিক্ত ১৩ ডেসিবেল জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ তোলে বিশ্বভারতী। এই মর্মে তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিলেন। এমনকি অমর্ত্য সেনকে ‘জমি হরফকারী’ বলেও কটাক্ষ করেন। এনিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অমর্ত্য সেনের পক্ষ নেন। তিনি তাঁর বাড়িতে গিয়ে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অমর্ত্য সেনের বাড়িতে গিয়ে হাতে তুলে দেন। বিশ্বভারতীর নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে গত বছরের ২৭ এপ্রিল সিউড়ি আদালতে যান অমর্ত্য সেন। তিনি পরিস্কার জানান, প্রয়াত পিতা আশুতোষ সেনের উইল অনুযায়ী ওই জমি তাঁর।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি সংক্রান্ত পর্যাপ্ত নথি আদালতে জমা দিতে পারেনি বিশ্বভারতী। তাই এদিন আদালত পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছে অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আইনজীবী সৌমেন্দ্র রায় চৌধুরী বলেন, “উপাচার্য ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আদালতে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে পারেননি। তাই আদালত সেই নোটিশ খারিজ করে দিয়েছেন।
অমর্ত্য সেনের পক্ষে গীতিকন্ঠ মজুমদার বলেন, “বিশ্বভারতী ১৩ ডেসিমেল জায়গার যে উচ্ছেদ নোটিশ জারি করেছিল সেটা সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি বলে আদালত জানিয়েছে। ফলে সেই নোটিশ খারিজ করে দিয়েছে। বিষয়টি আমি অমর্ত্য সেনকে ম্যাসেজ করে জানিয়েছি। তিনি এই মুহূর্তে বোস্টনে আছেন। এই মুহূর্তে সেখানে ভোররাত। ফলে এখনও তিনি ম্যাসেজ দেখেননি। তবে আদালতের রায়ে আমরা খুশি”।